--হি হি হি হি
--কি হয়েছে?
--হি হি হি,বলবো না,
--তাহলে এমন করছ কেন?
--বলবো না,বললে তুমি আমায় বকা দিবে,
--দিব না,তাও বলো,
--জানো আমি কি করছি?হি হি হি
--বলবা তুমি?
--আমি আমার বিড়াল গুলো কে কি কি বলে আদর করলাম,
--কি কি বলেছ?
--লজ্জা লাগে ত,এসব সবাই নিজের
বেবি কে বলে,,,হি হি হি
--হুম,বলবা না তুমি?
-- তোমার আম্মু তোমাকে ছোট বেলায়
যা যা বলতো সে গুলা,
--আমার ত মনে নেই ওসব,
-- তাহলে আম্মুকে জিগাও, হি হি হি,
-- না,তুমি বলো,,,,,
--আচ্ছা শুনো আজ তাড়াতাড়ি বাসায় আসবা কিন্তু
--কেন কি হয়েছে আজ?
--আমি আসতে বলছি আসবা,,,,,,এত প্রশ্ন করো কেন?
--আচ্ছা আসবো
--এই ছেলে,ফোনে এত কথা কেন?বউ এর লগে খালি প্রেম
করা?
--এমন মিস্টি বউ থাকলে প্রেম করবো না ত কি করবো?
--এখন কাজ করো অফিসের,আর পাম দিতে হবে না,,,,
এই কথা বলেই আভা ফোন রেখে দিল।ইশান
বুঝতে পারছে,নিশ্চয় আভা কিছু স্পেশাল
রান্না করেছে,,,,,,,পাগলীটা পারেও বটে,,,।
আগে এতটা পাগলী ছিল না।কিন্তু সেই ঘটনার পর
একবারে শিশুদের মত হয়ে গেছে,,মাথায় একটু
সমস্যা হয়েছে,।মাঝে মাঝে ইশানের খারাপ লাগলেও
কিছু বলে না,কারন পাগলী টার ত ইশান ছাড়া আর কেউ
নেই।আর ইশান ও আভাকে এতো ভালোবাসে যে ওর উপর
রাগ করতেই পারে না।
রাত দশটা সময় ইশান বাসায় আসলো।রেগে ফায়ার
হয়ে বসে আছে আভা,,,আজকে কিছু একটা হবে,যেদিন
আগে আসতে বলে সেদিন ই দেরি করে আসে,,,
--চলো,ডিনার করবো
--আমি খাব না,,
--কেন?খেয়ে এসেছ নাকি?
--হ্যা,তুমি খেয়ে নাও
কথাটা শুনে আভা আর কিছু বললো না,সারা দিন এত কস্ট
করে রান্না করেছে,আর সেই
সন্ধ্যা থেকে বসে আছে খাবার রেডি করে,এক
সাথে খাবে বলে,আর
সে কি না বাইরে থেকে খেয়ে এসেছে।রাগ
উঠাটা স্বাভাবিক।তাই নিজেও আর না খেয়ে পুতুল
টাকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো।
হঠাত কারেন্ট চলে গেল।জানলা দিয়ে চাদের
আলো এসে পড়তেছে আভার উপর।কি দারুন
লাগতেছে পাগলীটাকে,গোমরা মুখে, ,রাগান্বিত
অবস্থায় আভাকে দেখতে সবচেয়ে বেশি মিস্টি লাগে।
তাই ত সুযোগ পেলেই আভাকে রাগাত ইশান।
একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্লেট এ খাবার
এনে আভাকে টেনে তুললো জোর করে,
-টেনে তুললে কেন?
-আমার খুব খিদে লাগছে,আর আমি তাই আমার বউ
কে নিয়ে খাব।
--তুমি না বললা তুমি খেয়ে এসেছ?
-- সেটা ত তোমাকে রাগানোর জন্য
--আমায় কস্ট দিয়ে রাগাতে তোমার খুব ভালো লাগে তাই
না?
--তোমার অভিমানী ফেসটা আমার খুব ভালো লাগে,
--তাই বলে তুমি আমাকে রাগাবে?
--আচ্ছা সরি আভা,,জানো এই মোমের আলোয় আমার বউ
এর অভিমানে ভরা মুখটা কত সুইট লাগছে?
--আমি জানি না,জানতেও চাই না,আমি শুধু তোমায় চাই।
--আমি ত তোমার ই।
--আমায় খাওয়াইয়া দাও আজকে
......................................এভাবে চলতে থাকে ইশান আর
আভার ভালোবাসা।।ভালোব
েসে বিয়ে করেছে ওরা দুজন।বিয়ের কয়েক বছর পর ই
আভা প্রেগনেন্ট হয়।সারা দিন ই পিচ্চির কথা ভাবতো।
ওকে নিয়ে কি কি করবে,,,সেটাই চিন্তা করতো।একদিন
একদিন বাথরুমে গোসল করার সময় পড়ে যায়
পিচ্ছলে,,বাসায় কেও ছিল না,পরে ইশান
এসে দেখে হসপিটাল এ নিয়ে যায়।বেবিটাকে আর
বাচানো যায় নি।সেই সাথে আভা হারায় মা হবার
ক্ষমতা।।
তারপর থেকেই আভা কেমন জানি হয়ে গেছে। পাগলের মত
বিহাব করে।অনেকেই ইশান
কে আরেকটা বিয়ে করতে বলেছিল,কিন্তু সে পারে নি,,,
কারন আভাকে খুব ভালোবাসে সে।তাকে কিছুতেই
ঠকাতে পারবে না।
সবাই বাবা হতে চায়।ইশান এর ও ইচ্ছে হয়। বাট শুধু নিজের
কথা ভাবলে চলবে না।আভার কি মা ডাক
শুনতে ইচ্ছে করে না?
তার ই ত বেশি ইচ্ছে করে।এসব জন্য ইশান আভাকে দোষ
দেয় নি।।সব টাই নিজের কাধে নিয়েছে,এমন অবস্থায়
আভাকে একা বাসায় রাখা উচিত হয় নি।তার
সাথে থাকা উচিত ছিল।তাই প্লিজ গর্ভবতী মা দের
কখনো বাসায় একা রাখবেন না।
লেখা: # Sayem_Sagor
--কি হয়েছে?
--হি হি হি,বলবো না,
--তাহলে এমন করছ কেন?
--বলবো না,বললে তুমি আমায় বকা দিবে,
--দিব না,তাও বলো,
--জানো আমি কি করছি?হি হি হি
--বলবা তুমি?
--আমি আমার বিড়াল গুলো কে কি কি বলে আদর করলাম,
--কি কি বলেছ?
--লজ্জা লাগে ত,এসব সবাই নিজের
বেবি কে বলে,,,হি হি হি
--হুম,বলবা না তুমি?
-- তোমার আম্মু তোমাকে ছোট বেলায়
যা যা বলতো সে গুলা,
--আমার ত মনে নেই ওসব,
-- তাহলে আম্মুকে জিগাও, হি হি হি,
-- না,তুমি বলো,,,,,
--আচ্ছা শুনো আজ তাড়াতাড়ি বাসায় আসবা কিন্তু
--কেন কি হয়েছে আজ?
--আমি আসতে বলছি আসবা,,,,,,এত প্রশ্ন করো কেন?
--আচ্ছা আসবো
--এই ছেলে,ফোনে এত কথা কেন?বউ এর লগে খালি প্রেম
করা?
--এমন মিস্টি বউ থাকলে প্রেম করবো না ত কি করবো?
--এখন কাজ করো অফিসের,আর পাম দিতে হবে না,,,,
এই কথা বলেই আভা ফোন রেখে দিল।ইশান
বুঝতে পারছে,নিশ্চয় আভা কিছু স্পেশাল
রান্না করেছে,,,,,,,পাগলীটা পারেও বটে,,,।
আগে এতটা পাগলী ছিল না।কিন্তু সেই ঘটনার পর
একবারে শিশুদের মত হয়ে গেছে,,মাথায় একটু
সমস্যা হয়েছে,।মাঝে মাঝে ইশানের খারাপ লাগলেও
কিছু বলে না,কারন পাগলী টার ত ইশান ছাড়া আর কেউ
নেই।আর ইশান ও আভাকে এতো ভালোবাসে যে ওর উপর
রাগ করতেই পারে না।
রাত দশটা সময় ইশান বাসায় আসলো।রেগে ফায়ার
হয়ে বসে আছে আভা,,,আজকে কিছু একটা হবে,যেদিন
আগে আসতে বলে সেদিন ই দেরি করে আসে,,,
--চলো,ডিনার করবো
--আমি খাব না,,
--কেন?খেয়ে এসেছ নাকি?
--হ্যা,তুমি খেয়ে নাও
কথাটা শুনে আভা আর কিছু বললো না,সারা দিন এত কস্ট
করে রান্না করেছে,আর সেই
সন্ধ্যা থেকে বসে আছে খাবার রেডি করে,এক
সাথে খাবে বলে,আর
সে কি না বাইরে থেকে খেয়ে এসেছে।রাগ
উঠাটা স্বাভাবিক।তাই নিজেও আর না খেয়ে পুতুল
টাকে বুকে নিয়ে শুয়ে পড়লো।
হঠাত কারেন্ট চলে গেল।জানলা দিয়ে চাদের
আলো এসে পড়তেছে আভার উপর।কি দারুন
লাগতেছে পাগলীটাকে,গোমরা মুখে, ,রাগান্বিত
অবস্থায় আভাকে দেখতে সবচেয়ে বেশি মিস্টি লাগে।
তাই ত সুযোগ পেলেই আভাকে রাগাত ইশান।
একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্লেট এ খাবার
এনে আভাকে টেনে তুললো জোর করে,
-টেনে তুললে কেন?
-আমার খুব খিদে লাগছে,আর আমি তাই আমার বউ
কে নিয়ে খাব।
--তুমি না বললা তুমি খেয়ে এসেছ?
-- সেটা ত তোমাকে রাগানোর জন্য
--আমায় কস্ট দিয়ে রাগাতে তোমার খুব ভালো লাগে তাই
না?
--তোমার অভিমানী ফেসটা আমার খুব ভালো লাগে,
--তাই বলে তুমি আমাকে রাগাবে?
--আচ্ছা সরি আভা,,জানো এই মোমের আলোয় আমার বউ
এর অভিমানে ভরা মুখটা কত সুইট লাগছে?
--আমি জানি না,জানতেও চাই না,আমি শুধু তোমায় চাই।
--আমি ত তোমার ই।
--আমায় খাওয়াইয়া দাও আজকে
......................................এভাবে চলতে থাকে ইশান আর
আভার ভালোবাসা।।ভালোব
েসে বিয়ে করেছে ওরা দুজন।বিয়ের কয়েক বছর পর ই
আভা প্রেগনেন্ট হয়।সারা দিন ই পিচ্চির কথা ভাবতো।
ওকে নিয়ে কি কি করবে,,,সেটাই চিন্তা করতো।একদিন
একদিন বাথরুমে গোসল করার সময় পড়ে যায়
পিচ্ছলে,,বাসায় কেও ছিল না,পরে ইশান
এসে দেখে হসপিটাল এ নিয়ে যায়।বেবিটাকে আর
বাচানো যায় নি।সেই সাথে আভা হারায় মা হবার
ক্ষমতা।।
তারপর থেকেই আভা কেমন জানি হয়ে গেছে। পাগলের মত
বিহাব করে।অনেকেই ইশান
কে আরেকটা বিয়ে করতে বলেছিল,কিন্তু সে পারে নি,,,
কারন আভাকে খুব ভালোবাসে সে।তাকে কিছুতেই
ঠকাতে পারবে না।
সবাই বাবা হতে চায়।ইশান এর ও ইচ্ছে হয়। বাট শুধু নিজের
কথা ভাবলে চলবে না।আভার কি মা ডাক
শুনতে ইচ্ছে করে না?
তার ই ত বেশি ইচ্ছে করে।এসব জন্য ইশান আভাকে দোষ
দেয় নি।।সব টাই নিজের কাধে নিয়েছে,এমন অবস্থায়
আভাকে একা বাসায় রাখা উচিত হয় নি।তার
সাথে থাকা উচিত ছিল।তাই প্লিজ গর্ভবতী মা দের
কখনো বাসায় একা রাখবেন না।
লেখা: # Sayem_Sagor
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন