কলেজে পরীক্ষা চলছে।
পরীক্ষা শেষ করে বাসায় গেলাম।
ভাবলাম হাত মুখ ধুয়ে, খাওয়া শেষ
করে
আরামছে ঘুম দিবো।
যেই ভাবা সেই কাজ।
খাওয়া শেষ ঘুমাতে যাবো
ঠিক সেই সময় ভয় কাজ করা শুরু করলো।
আজ তো আমি শেষ। কি করব
বুঝতে পারছিনা।
.
ভয়ের কারণ আমার প্রেমিকা আমার
নাফিসা।
পরীক্ষা শেষ কইরা ওর সাথে
দেখা করার কথা ছিল।
কিন্তু
কি হইলো এইডা তো আপনারা বুঝতেই
পারতেছেন
পুরা ২:১৫ মিনিট দেরী হয়ে গেছে।
আমার জানের সাথে ৬ মাসের
সম্পর্ক।
খুবই সুইট, আর রাগী।
কিন্ত রাগ করে থাকতে পারে না।
কারণ আমি তো হেতির লাভার বয়
পিয়াস।
আদর করে আমায় পিচাস বলে
কারণ আমি তো খুব
ভালো কি না তাই। যাইহোক,
বন্ধুর লাভ লাইফ ঠিক করতে গিয়ে
নিজের টাই ঠিক হয়ে গেল।।
নাফিসা আমার এক ক্লাস নিচে।
আমাদের কলেজের এক ফাংশনে
একটা মেয়ে এসেছিল।
তাকে দেখে আমার দোস্ত পুরাই
পাগল।
তো আমারা ফ্রেন্ডরা আমার
ফ্রেন্ডকে
সাহায্য করার চিন্তা করলাম।
আর যার সাহায্য নিবো সেই হল আমার
জান
নাফিসা।
একই কলেজে পড়ার কারনে দেখা হল।
হাই-হ্যালো দিয়েই শুরু।
তার পর ওকে সব বল্লাম,
আমার বন্ধুর ব্যাপারে।
নাফিসার মুখ দেখে মনে হলো
যেন খুব বড় শক্ খাইছে।
তো নাফিসা আমার বন্ধুর
পুরা বাইওডাটা নিল আর বল্ল
যে ট্রাই করবে।
এভাবে বন্ধুদের প্রেম জীবন নিয়ে
কথা বলার জন্য নাফিসার সাথে
প্রায়ই কথা হতো।
মানে আমি আর নাফিসা আমাদের
বন্ধুর পিয়ন ছিলাম এই আর কি।
কিন্তু কবে যে নাফিসার প্রতি চরম
দুর্বলতা
তৈরি হয়ে গেলো বুঝতেই পারি নাই।
হয়তো তখন নাফিসার ও আমার মত
দশা হয়েছিল।
একদিন
তো ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলাম,
দেখি কয়েকটা ছেলে কিছু
মেয়েকে টিজ করছে যার
মধ্যে ভাবী (বন্ধুর লাভার),
আর আমার জান নাফিসাও ছিল।
আমার আবার রাগ একটু বেশি।
তাই না ভেবেই ওখানে গেলাম।
গিয়ে একটু ঝগড়া-ফ্যাসাদ করলাম।
ততক্ষনে বন্ধুরাও চলে এসেছে।
কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে।
নাফিসা আমারে জিগ্গেস
করেছিলো
যে এসব করার কি দরকার ছিল?
আমি তখন রাগের মাথাই ছিলাম
মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছিল যে,
"আমার জানের সাথে কেউ মিস
বিহেভ করবে আর আমি
চুপ করে বসে থাকব"???
যখন হুশ ফিরল তখন আমার মাথাই হাত।
এইডা আমি কি কইলাম মনে মনে
ভাবতেছি আর তাই
নাফিসার দিকে না তাকিয়েই
চলে আসলাম বাড়ীতে।
খুব টেনশন হচ্ছিলো।
কাল কলেজে গিয়েই সব দেখা যাবে।
তো সারারাত
ভালো ভাবে ঘুমাতেই পারলাম না।
কলেজে গেলাম সকাল হতেই।
ভাবীর কাছে জানতে পারলাম
নাফিসা আজ কলেজে আসেনি।
আর ভাবী (বন্ধুর জিএফ)আমার দিকে
তাকিয়ে বেমন একটা হাসি দিলেন
যার অর্থ বুঝলাম না।
২ দিন কলেজে আসলো না নাফিসা।
কীভাবে যে কাটছিলো সব কি বলব।
পরের দিন আবার,
কলেজের
ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
দেখি ভাবী আর ভাবীর ফ্রেন্ড
মানে
নাফিসা আসতেছে।
অস্থির লাগছিলো।
সাদা ড্রেসে এসেছিল নাফিসা।
আমিতো দেখেই হা।
এতো কিউট লাগতেছিলো
যে আমার বেহুশ হওয়ার পালা
যাই হোক সব বন্ধুরা জায়গা ত্যাগ
করল।
রইলাম শুধু নাফিসা আর আমি।
আমার ভয়
লাগতেছে মেয়ে না জানি কি বলে।
চুপচাপ.... চুপচাপ কিছুক্ষন।
সাহস নিয়ে আমিই শুরু করলাম---
পিয়াস-কেমন আ..আছো?
( কাপা কন্ঠে)
নাফিসা---যেমন আপনি রেখেছেন।
ব্যাপারটা কি বলুন তো?
আপনি কি বলেছিলেন সেদিন?
পিয়াস---(আমি চুপ)
নাফিসা---ঐ_ কানে শোনেন না?
কি জিঙ্গেস করলাম?
পিয়াস--- না... মানে।
আ...সলে আআ..
.মি.. .. তোমাকে ভালবাসি।
আসলে আমি কথাটা সেদিন
ওভাবে বলতে চায়নি।
নাফিসা---হুম।
পিয়াস--- আচ্ছা আমি যায়, টেক
কেয়ার।
নাফিসা---হ্যা হ্যা যান যাবেন ই
তো।
৩দিন ধরে আমি উনার জন্য
কোনো কাজ করতে পারছি না,
আমার সব ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে আর
উনি।
বাহ্!
পিয়াস---
মানে (আমি খুশিতে আপ্লুত)!!
নাফিসা---মানে আমার মাথা।
আমি একটা ননসেন্স টাইপের
হাসি দিলাম। আর নাফিসা চলে গেল
ক্লাস আছে বলে
নাফিসা আমাকে একটা চিঠি দিয়ে গেল।
আর পেছন ফিরে দিয়ে গেল
একটা মুচকি হাসি।
যেই হাসি দেখে মরতে পারি হাজার
বার আমি।
বেশি খুশি হলাম না হার্ট
এ্যাটাকের ভয়ে।
চিঠি খুললাম। লেখা ছিল ......
"এই গাধাটাকে ভালবেসে ফেলেছি"।
শেষ পর্যন্ত গাধা বানিয়েই ছাড়লো
আমাকে আমার নাফিসা।
আমিও ভালোবাসি তোমাকে মিসেস.
গাধা।
উমমমমমমমমমমমা flying kiss পিছন থেকেই
দিয়ে দিলাম
ইয়য়য়য়াহু আমার নাচতে মন
চাইতেছে ডিংকিচিকা ডিংকিচিকা
এ এ য়া অসাম সালা.
এভাবেই শুরু হয় আমাদের ভালোবfসা।
-
====RJ Rajesh
পরীক্ষা শেষ করে বাসায় গেলাম।
ভাবলাম হাত মুখ ধুয়ে, খাওয়া শেষ
করে
আরামছে ঘুম দিবো।
যেই ভাবা সেই কাজ।
খাওয়া শেষ ঘুমাতে যাবো
ঠিক সেই সময় ভয় কাজ করা শুরু করলো।
আজ তো আমি শেষ। কি করব
বুঝতে পারছিনা।
.
ভয়ের কারণ আমার প্রেমিকা আমার
নাফিসা।
পরীক্ষা শেষ কইরা ওর সাথে
দেখা করার কথা ছিল।
কিন্তু
কি হইলো এইডা তো আপনারা বুঝতেই
পারতেছেন
পুরা ২:১৫ মিনিট দেরী হয়ে গেছে।
আমার জানের সাথে ৬ মাসের
সম্পর্ক।
খুবই সুইট, আর রাগী।
কিন্ত রাগ করে থাকতে পারে না।
কারণ আমি তো হেতির লাভার বয়
পিয়াস।
আদর করে আমায় পিচাস বলে
কারণ আমি তো খুব
ভালো কি না তাই। যাইহোক,
বন্ধুর লাভ লাইফ ঠিক করতে গিয়ে
নিজের টাই ঠিক হয়ে গেল।।
নাফিসা আমার এক ক্লাস নিচে।
আমাদের কলেজের এক ফাংশনে
একটা মেয়ে এসেছিল।
তাকে দেখে আমার দোস্ত পুরাই
পাগল।
তো আমারা ফ্রেন্ডরা আমার
ফ্রেন্ডকে
সাহায্য করার চিন্তা করলাম।
আর যার সাহায্য নিবো সেই হল আমার
জান
নাফিসা।
একই কলেজে পড়ার কারনে দেখা হল।
হাই-হ্যালো দিয়েই শুরু।
তার পর ওকে সব বল্লাম,
আমার বন্ধুর ব্যাপারে।
নাফিসার মুখ দেখে মনে হলো
যেন খুব বড় শক্ খাইছে।
তো নাফিসা আমার বন্ধুর
পুরা বাইওডাটা নিল আর বল্ল
যে ট্রাই করবে।
এভাবে বন্ধুদের প্রেম জীবন নিয়ে
কথা বলার জন্য নাফিসার সাথে
প্রায়ই কথা হতো।
মানে আমি আর নাফিসা আমাদের
বন্ধুর পিয়ন ছিলাম এই আর কি।
কিন্তু কবে যে নাফিসার প্রতি চরম
দুর্বলতা
তৈরি হয়ে গেলো বুঝতেই পারি নাই।
হয়তো তখন নাফিসার ও আমার মত
দশা হয়েছিল।
একদিন
তো ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলাম,
দেখি কয়েকটা ছেলে কিছু
মেয়েকে টিজ করছে যার
মধ্যে ভাবী (বন্ধুর লাভার),
আর আমার জান নাফিসাও ছিল।
আমার আবার রাগ একটু বেশি।
তাই না ভেবেই ওখানে গেলাম।
গিয়ে একটু ঝগড়া-ফ্যাসাদ করলাম।
ততক্ষনে বন্ধুরাও চলে এসেছে।
কিন্তু একটা সমস্যা হয়ে গেছে।
নাফিসা আমারে জিগ্গেস
করেছিলো
যে এসব করার কি দরকার ছিল?
আমি তখন রাগের মাথাই ছিলাম
মুখ ফসকে বের হয়ে গিয়েছিল যে,
"আমার জানের সাথে কেউ মিস
বিহেভ করবে আর আমি
চুপ করে বসে থাকব"???
যখন হুশ ফিরল তখন আমার মাথাই হাত।
এইডা আমি কি কইলাম মনে মনে
ভাবতেছি আর তাই
নাফিসার দিকে না তাকিয়েই
চলে আসলাম বাড়ীতে।
খুব টেনশন হচ্ছিলো।
কাল কলেজে গিয়েই সব দেখা যাবে।
তো সারারাত
ভালো ভাবে ঘুমাতেই পারলাম না।
কলেজে গেলাম সকাল হতেই।
ভাবীর কাছে জানতে পারলাম
নাফিসা আজ কলেজে আসেনি।
আর ভাবী (বন্ধুর জিএফ)আমার দিকে
তাকিয়ে বেমন একটা হাসি দিলেন
যার অর্থ বুঝলাম না।
২ দিন কলেজে আসলো না নাফিসা।
কীভাবে যে কাটছিলো সব কি বলব।
পরের দিন আবার,
কলেজের
ক্যাম্পাসে বসে আড্ডা দিচ্ছি।
দেখি ভাবী আর ভাবীর ফ্রেন্ড
মানে
নাফিসা আসতেছে।
অস্থির লাগছিলো।
সাদা ড্রেসে এসেছিল নাফিসা।
আমিতো দেখেই হা।
এতো কিউট লাগতেছিলো
যে আমার বেহুশ হওয়ার পালা
যাই হোক সব বন্ধুরা জায়গা ত্যাগ
করল।
রইলাম শুধু নাফিসা আর আমি।
আমার ভয়
লাগতেছে মেয়ে না জানি কি বলে।
চুপচাপ.... চুপচাপ কিছুক্ষন।
সাহস নিয়ে আমিই শুরু করলাম---
পিয়াস-কেমন আ..আছো?
( কাপা কন্ঠে)
নাফিসা---যেমন আপনি রেখেছেন।
ব্যাপারটা কি বলুন তো?
আপনি কি বলেছিলেন সেদিন?
পিয়াস---(আমি চুপ)
নাফিসা---ঐ_ কানে শোনেন না?
কি জিঙ্গেস করলাম?
পিয়াস--- না... মানে।
আ...সলে আআ..
.মি.. .. তোমাকে ভালবাসি।
আসলে আমি কথাটা সেদিন
ওভাবে বলতে চায়নি।
নাফিসা---হুম।
পিয়াস--- আচ্ছা আমি যায়, টেক
কেয়ার।
নাফিসা---হ্যা হ্যা যান যাবেন ই
তো।
৩দিন ধরে আমি উনার জন্য
কোনো কাজ করতে পারছি না,
আমার সব ওলট-পালট হয়ে যাচ্ছে আর
উনি।
বাহ্!
পিয়াস---
মানে (আমি খুশিতে আপ্লুত)!!
নাফিসা---মানে আমার মাথা।
আমি একটা ননসেন্স টাইপের
হাসি দিলাম। আর নাফিসা চলে গেল
ক্লাস আছে বলে
নাফিসা আমাকে একটা চিঠি দিয়ে গেল।
আর পেছন ফিরে দিয়ে গেল
একটা মুচকি হাসি।
যেই হাসি দেখে মরতে পারি হাজার
বার আমি।
বেশি খুশি হলাম না হার্ট
এ্যাটাকের ভয়ে।
চিঠি খুললাম। লেখা ছিল ......
"এই গাধাটাকে ভালবেসে ফেলেছি"।
শেষ পর্যন্ত গাধা বানিয়েই ছাড়লো
আমাকে আমার নাফিসা।
আমিও ভালোবাসি তোমাকে মিসেস.
গাধা।
উমমমমমমমমমমমা flying kiss পিছন থেকেই
দিয়ে দিলাম
ইয়য়য়য়াহু আমার নাচতে মন
চাইতেছে ডিংকিচিকা ডিংকিচিকা
এ এ য়া অসাম সালা.
এভাবেই শুরু হয় আমাদের ভালোবfসা।
-
====RJ Rajesh
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন