** অপূর্ব ভালবাসা **
.
লেখকঃ- RJ Prome
.
ফার্মেসিতে গেলাম আমার
ভাতিজার
লেখকঃ- RJ Prome
.
ফার্মেসিতে গেলাম আমার
ভাতিজার
জন্য ঔষধ কিনতে। ঔষধ নিয়ে আসার সময়
একটা মহিলার
সাথে ধাক্কা খেয়ে গেলাম।
অমা.............
কি গালাগাল দিল রে বাবা_ কিছু সময়
পরে একটা মেয়ে এসে ঐ মহিলাকে ফুফু
বলে ডাকলো। মেয়েটা দেখতে অসম্ভব
সুন্দর ছিল। আমরা ছেলেরা এমনিতেই
মেয়েদের প্রতি দুর্বল। এর পরে যদি পরীর
মত কোন
মেয়ে দেখি তবে তো কথা নাই...
আমি অবাক হয়ে মেয়েটির
দিকে তাকিয়ে আছি।
হঠাত,
একটা প্রখর আওয়াজে আমি আমার
জগতে ফিরে এলাম।
এমা...
ঐ মেয়েটিও আমাকেই গালাগাল
করতে আরম্ব করলো।
কি আর করার!! আমি হাম্বার মত
দাড়িয়ে আছি।
গালাগাল করে একটা ঝারি মেরে ঐ
মেয়ে অর ফুফুকে নিয়ে চলে গেল।
আমি বাসায় চলে আসলাম। আর বাসায়
এসে যা দেখলাম তা বিশ্বাস করার মত
না।
.
.
ঐ মেয়ে আর অর ফুফু আমাদের বাসার
সোফায় বসে 'চা' খাচ্ছে!!!
আমি তো অজ্ঞান হওয়ার অবস্থায়।
আমি চুপি চুপি যেই আমার ঘরে যাবো,
ওমনি 'মা' পেছন থেকে আমাকে ডাক
দিলেন।
আমি মা'য়ের
দিকে না তাকিয়ে বললাম,
কিছু বলবে?
মা বললেন,
এনাদেরকে চিনতে পারলি?
এরপরে আমি ঘুরে তাকালাম আর
উনাদের
দিকে এগিয়ে গেলাম।
ওরা আমাকে দেখে হতবাক... ঐ
মেয়েটা আমাকে দেখে দাড়িয়ে গেল
আর অর ফুফুর খাওয়া বন্ধ হয়ে গেল।
মেয়েটি অদ্ভুত
ভাবে তাকিয়ে আছে আমার দিকে।
আমি উনাদের সাথে কিছু
কথা বলে আমার রোমে চলে গেলাম।
রাতে খাবার টেবিলে সবাই
জড়ো হলাম।
সত্যি কথা বলতে, ঐ মেয়েটিকে আমার
খুব ভাল লেগে গেছিল। অদ্ভুত
মায়া আছে ঐ মেয়ের চেহারায়।
খাবার
সময় বার বার আমার দিকে তাকায়। আর
অর ফুফুর কথা কি আর বলব, আস্ত কার্টুন....
খাওয়া শেষে আমার রোমে যাওয়ার
সময়
ঐ মেয়েটি ডাক দিল।
>এই যে শুনছেন!!!
<হুম বলেন, আর কি কোন ভুল করলাম
নাকি?
>আসলে......আসলে...... আমি খুব দুঃখ্যিত।
<কেন? রাস্তার ঘটনার জন্য??আরে, ঠিক
আছে। ভুল তো মানুষেরই হয়!!!
>ধন্যবাদ, রাগ করেন নি তো?
<না না, রাগ করি নি।
>হা হা হা, বন্ধু হতে পারি আপনার?
<হুম
অবশ্যই।
---- এর পর আমরা ২ দিনেই ভাল বন্ধু
হয়ে যাই।
কথায় আছে, একটা মেয়ে আর
একটা ছেলে কক্ষনই বন্ধু হতে পারে না।
আমি তো প্রায় দুর্বল হয়ে গেলাম ঐ
মেয়ের উপর।
অর নাম ঐশি।
মা' ঐশির আর আমার সম্পর্কটা ভাল
করে লক্ষ করছিলেন। আমরা তা জানতাম
না।
একদিন সকালে, ঐশি আমার
পাশে এসে বসলো টিভি দেখতে হাতে চিপ্স
নিয়ে। আমি আর
ঐশি ছাড়া এখানে আর
কেউ নেই।
আর সু্যোগ বুঝে আমি ঐশিকে আমার
ভালবাসার কথা বলে দিলাম, একটুও ভয়
পেলাম না আমি।
ঐশি আমার দিকে অবহেলিত
চোখে তাকিয়ে আছে যেন সে আমার
প্রতি বিরক্ত।
ঐশি আমাকে বলল,
>তুমি কি পাগল হয়ে গেছ নাকি? <কেন
কি হইছে?
আমাকেকে তুমি ভালবাসো না?
> আমরা শুধু বন্ধু, এর বাইরে কিচ্ছু না। ---
এই বলে ঐশি চলে গেল।
আমি হতভম্ব হয়ে বসে আছি।
কি আর করার ছিল আমার!
ভালবাসা জোড় করে আদায় করা যায়
না এটা আমি জানতাম।
সারা রাত কষ্টে কাটলো আমার। কিন্তু,
কষ্টের শেষে মিস্টী আছে। পরের দিন
সকালে আমি ঘর
থেকে বেরুতে সময় দেখি ঐশি আমার
ঘরের দরজার পাশে দাড়িয়ে আছে।
আমি কষ্ট ভরা চোখে ঐশির
দিকে তাকিয়ে আছি।
আমি বললাম, কিছু বলবে?
তারপর, ঝরের
বেগে ঐশি এসে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
কি থেকে কি হলো আমি কিছুই বুঝলাম
না, আর বুঝতেও চাই না।
ঐশি আমার রাজত্বের রানী হয়ে গেল।
ঐশির মুখের দিকে তাকালেই
অকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করে। খুব
ভালবাসি তোমাকে ঐশি....
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন