মেয়েটি পড়ে কলেজে। ইন্টার ফার্স্ট ইয়ার। তো হঠাত্ একদিন মেয়েটি তার বাপকে কহিল,
- ইয়ে মানে আব্বা, আমি একজনকে ভালবাসি।
- কি?
- সত্যি বলছি।
- কলেজে প্রেম ভালবাসা? তোর কি মাথা খারাপ? তাও আবার বাপকে বলছিস?
- দেখছ আব্বা আমি কত্ত সাহসী? কলেজে উঠেই প্রেম করতেসি আবার তোমার কাছেও লুকাচ্ছি না। এরকম সাহসী মেয়ে পাবা?
- পুলিশের বেটি তো সাহসী হবেই। তা তোর প্রেমিক কি তোর মতই সাহসী?
একটু ভেবে মেয়েটি বলল,
- হ্যাঁ অবশ্যই। পুলিশের বেটি সাহসী হতে পারলে প্রেমিকার প্রেমিকও সাহসী হবে।
- হাহা! মজা পাইলাম। সে কি জানে আমি পুলিশ?
- হুম জানে।
- অকা। যদি ছেলেটি আমার চোখের সামনে দিয়ে তোর কাছে গিয়ে তোর হাত ধরতে পারে তাহলে পড়াশুনা শেষে তোর বিয়ে কনফার্ম ঐ ছেলের সাথে।
- হাহা! এটা কোন ব্যাপারই না আব্বা।
- সেটা দেখা যাবে। ছয়দিন টাইম দিলাম। এই ছয়দিনের মাঝে আসতে হবে।
- অকা।
অতঃপর মেয়েটি কল দিল তার প্রেমিককে।
- কি? তুমি আমার বাপের সামনে দিয়ে আমার কাছে আসতে পারবা না? হাত ধরতে পারবা না?
- ক্যামতে পারব? তোমার বাপ পুলিশ। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে দিবে ধোলাই।
- আরে তুমি আমার বাপকে দেখসো কোনদিন? দেখনি তো। এত ভয় পাচ্ছ কেন?
- না দেখলে কি হইসে! পুলিশের সামনে দিয়ে যাব কেমতে! মাফ কর তুমি।
ছেলেটিকে রাজি করানো যাচ্ছিল না। অতঃপর মেয়েটির মাথায় আসলো ফাটাফাটি প্ল্যান। প্ল্যান অনুযায়ী সে নিজের জ্বর বাঁধিয়ে ফেলল। শীতের দিনেও তিন চারবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করল জ্বর বাঁধানোর জন্য।
তারপর পাঁচদিন মোবাইল অফ রাখল মেয়েটি। ষষ্ঠ দিনে অন করল। অন করতেই প্রেমিকের কল আসলো।
- এই মেয়ে, তোমার মোবাইল অফ ছিল কেন? পাঁচদিন ধরে ট্রাই করছি।
- তো বাসায় আসতে পারলে না?
- তোমার বাপের কারণে আসতে পারি না। তোমার হইসে কী?
- আমি অনেক অসুস্থ। আজ দুপুরে আসতে পারবে আমার বাসায়? আব্বা নাই কিন্তু। ওষুধ চিকিত্সার সব ব্যবস্থা পাশের বাসার আংকেল করে দিসে। (নিজের বাপকে পাশের বাসার আংকেল বানায় দিসে)
- বাহ! আংকেল তো খুব ভাল।
- হুম। আমাদের রিলেশনের কথাও সব জানে। সব বলসি। আজ দুপুরে চলে আসো। দেখা করিয়ে দিব।
- অকা আসছি।
***
দুপুর আড়াইটা বাজে। বাপ মেয়ের রুমে এসে বলল,
- এখন কেমন আছিস?
- ভাল না। শুয়ে থাকতে আর ভাল্লাগছে না।
- অসুস্থ হলে শুয়ে থাকতে হয়। তুই রেস্ট নে। আমি পরে আসছি।
বাপ চলে যাচ্ছিল। দরজার কাছে আসতেই প্রেমিকের প্রবেশ।
- আসসালামুআলাইকুম আংকেল! কেমন আছেন? লীনা আপনার কথা আমাকে বলেছে। অনেক ধন্যবাদ আংকেল।
- কিন্তু তুমি কে?
- আমি ওর প্রেমিক! আপনিতো আমাদের রিলেশনের কথা সবই জানেন।
ছেলেটি এবার হাসিমুখে মেয়েটির কাছে হেঁটে গেল। মেয়েটির পাশে বসল। তারপর তার হাত ধরে তাকে উঠে বসিয়ে বলল, 'এখন কেমন আছ লীনা? জ্বর কমসে?'
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ইহা দেখিয়া আংকেল পুরাই হা হইয়া গেলেন। মেয়েটি বাপের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হেসে বলল,
- দেখসো আব্বা, আমার প্রেমিক। তোমার কথামত তোমার সামনে দিয়ে হেঁটে এসে আমার হাত ধরেছে। এটা হচ্ছে আমাদের ক্লোজাপ কাছে আসার #সাহসী গল্প।
বাপ সেন্সলেস! এবং ছেলেটি পুরাই তব্দা! ছেলেটি কহিল,
- ইনি পাশের বাসার আংকেল না?
- না গো। ইনি আমার আব্বা। পুলিশে চাকরি করে।
- কি? তোমার আব্বা?
অতঃপর ছেলেটিও সেন্সলেস!
- ইয়ে মানে আব্বা, আমি একজনকে ভালবাসি।
- কি?
- সত্যি বলছি।
- কলেজে প্রেম ভালবাসা? তোর কি মাথা খারাপ? তাও আবার বাপকে বলছিস?
- দেখছ আব্বা আমি কত্ত সাহসী? কলেজে উঠেই প্রেম করতেসি আবার তোমার কাছেও লুকাচ্ছি না। এরকম সাহসী মেয়ে পাবা?
- পুলিশের বেটি তো সাহসী হবেই। তা তোর প্রেমিক কি তোর মতই সাহসী?
একটু ভেবে মেয়েটি বলল,
- হ্যাঁ অবশ্যই। পুলিশের বেটি সাহসী হতে পারলে প্রেমিকার প্রেমিকও সাহসী হবে।
- হাহা! মজা পাইলাম। সে কি জানে আমি পুলিশ?
- হুম জানে।
- অকা। যদি ছেলেটি আমার চোখের সামনে দিয়ে তোর কাছে গিয়ে তোর হাত ধরতে পারে তাহলে পড়াশুনা শেষে তোর বিয়ে কনফার্ম ঐ ছেলের সাথে।
- হাহা! এটা কোন ব্যাপারই না আব্বা।
- সেটা দেখা যাবে। ছয়দিন টাইম দিলাম। এই ছয়দিনের মাঝে আসতে হবে।
- অকা।
অতঃপর মেয়েটি কল দিল তার প্রেমিককে।
- কি? তুমি আমার বাপের সামনে দিয়ে আমার কাছে আসতে পারবা না? হাত ধরতে পারবা না?
- ক্যামতে পারব? তোমার বাপ পুলিশ। পরে থানায় নিয়ে গিয়ে দিবে ধোলাই।
- আরে তুমি আমার বাপকে দেখসো কোনদিন? দেখনি তো। এত ভয় পাচ্ছ কেন?
- না দেখলে কি হইসে! পুলিশের সামনে দিয়ে যাব কেমতে! মাফ কর তুমি।
ছেলেটিকে রাজি করানো যাচ্ছিল না। অতঃপর মেয়েটির মাথায় আসলো ফাটাফাটি প্ল্যান। প্ল্যান অনুযায়ী সে নিজের জ্বর বাঁধিয়ে ফেলল। শীতের দিনেও তিন চারবার ঠান্ডা পানিতে গোসল করল জ্বর বাঁধানোর জন্য।
তারপর পাঁচদিন মোবাইল অফ রাখল মেয়েটি। ষষ্ঠ দিনে অন করল। অন করতেই প্রেমিকের কল আসলো।
- এই মেয়ে, তোমার মোবাইল অফ ছিল কেন? পাঁচদিন ধরে ট্রাই করছি।
- তো বাসায় আসতে পারলে না?
- তোমার বাপের কারণে আসতে পারি না। তোমার হইসে কী?
- আমি অনেক অসুস্থ। আজ দুপুরে আসতে পারবে আমার বাসায়? আব্বা নাই কিন্তু। ওষুধ চিকিত্সার সব ব্যবস্থা পাশের বাসার আংকেল করে দিসে। (নিজের বাপকে পাশের বাসার আংকেল বানায় দিসে)
- বাহ! আংকেল তো খুব ভাল।
- হুম। আমাদের রিলেশনের কথাও সব জানে। সব বলসি। আজ দুপুরে চলে আসো। দেখা করিয়ে দিব।
- অকা আসছি।
***
দুপুর আড়াইটা বাজে। বাপ মেয়ের রুমে এসে বলল,
- এখন কেমন আছিস?
- ভাল না। শুয়ে থাকতে আর ভাল্লাগছে না।
- অসুস্থ হলে শুয়ে থাকতে হয়। তুই রেস্ট নে। আমি পরে আসছি।
বাপ চলে যাচ্ছিল। দরজার কাছে আসতেই প্রেমিকের প্রবেশ।
- আসসালামুআলাইকুম আংকেল! কেমন আছেন? লীনা আপনার কথা আমাকে বলেছে। অনেক ধন্যবাদ আংকেল।
- কিন্তু তুমি কে?
- আমি ওর প্রেমিক! আপনিতো আমাদের রিলেশনের কথা সবই জানেন।
ছেলেটি এবার হাসিমুখে মেয়েটির কাছে হেঁটে গেল। মেয়েটির পাশে বসল। তারপর তার হাত ধরে তাকে উঠে বসিয়ে বলল, 'এখন কেমন আছ লীনা? জ্বর কমসে?'
দরজার কাছে দাঁড়িয়ে ইহা দেখিয়া আংকেল পুরাই হা হইয়া গেলেন। মেয়েটি বাপের দিকে তাকিয়ে চোখ টিপে হেসে বলল,
- দেখসো আব্বা, আমার প্রেমিক। তোমার কথামত তোমার সামনে দিয়ে হেঁটে এসে আমার হাত ধরেছে। এটা হচ্ছে আমাদের ক্লোজাপ কাছে আসার #সাহসী গল্প।
বাপ সেন্সলেস! এবং ছেলেটি পুরাই তব্দা! ছেলেটি কহিল,
- ইনি পাশের বাসার আংকেল না?
- না গো। ইনি আমার আব্বা। পুলিশে চাকরি করে।
- কি? তোমার আব্বা?
অতঃপর ছেলেটিও সেন্সলেস!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন