এক টুকরো স্মৃতি
===================
writen by :শেষ সন্ধ্যার কবি
******************
…এই, আপু ওটো না। আর কত ঘুমাবে? কলেজ যাবে না?"
…তোর লাগতেছে কেন? যা ভাগ।
…এ্যা এ্যা এ্যা।
…সোনামনি, চাদের খনি। কাদে না, কাদে না।
…তাহলে তাড়াতাড়ি উঠ।
…আচ্ছা। এখন হল?
…হুমম
…যাও রেডি হয়ে নাও।
…ওকে
বলেই রিতা গেল ফ্রেশ হতে। ছোটবোন মিতার জ্বালায় অতিষ্ট সে। সকালে একটু ভাল করে ঘুমাতে পারে না। রাতে তাকে আবার গল্প বলে ঘুম পাড়াতে হয়। অসহ্য। তবে মাঝে মাঝে তাকে ছাড়া অচল রিতা। মিতা বোন হিসেবে কানায় কানায় পরিপূর্ন করে রেখেছে।
…এই আপু কলেজ যাচ্ছি?
…জি.. মহারানী।
…একটু মাথাটা নিচে নামা।
…কেন?
…নামা বলছি।
…ওফ! হুমম।
…ওম্মাহহহ।
…এটাকি আর্শীবাদ?
…না। তোর কপালে চুমু দিছি। তোকে আমি এত্তগুলো ভালবাসি।
…এই! এই! আমি আজ কিছু আনতে পারব না।
…প্লিজ আপু। একটা কিটকেট মাত্র।
…ওরে বাবা। পারব না।
…এ্যা এ্যা এ্যা।
…আচ্ছা আচ্ছা। আনব।
ওফ মাথাটা নষ্ট করে দিকে সে। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার সময় এই অবস্হা। কিছু না কিছুর চাহিদা থাকবেই। তা ও আবার ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইল করে। আনতে হবেই হবে। না হয় সেদিন আর রক্ষা নেই।
এভাবেই কাটে মিতা রিতা দুবনের সারাদিন। ঝগড়া, কুনসুটি মারামারি লেগেই থাকে। হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয় মেয়েটা। তবে এই আচরন রিতার সহ্য সীমা অতিক্রম করে মাঝে মাঝে। আবার প্রান ভরে ভালও বাসে। একদিন তাড়াহুড়ো করে বাসায় চলে আসে রিতা। কিন্তু হঠাৎ কি যেন মনে করে আনেনি। ওহ কিটক্যাট আনা হয়নি দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসে।
…এই, আপু ওটো না। আর কত ঘুমাবে? কলেজ যাবে না?"
…তোর লাগতেছে কেন? যা ভাগ।
…এ্যা এ্যা এ্যা।
…সোনামনি, চাদের খনি। কাদে না, কাদে না।
…তাহলে তাড়াতাড়ি উঠ।
…আচ্ছা। এখন হল?
…হুমম
…যাও রেডি হয়ে নাও।
…ওকে
বলেই রিতা গেল ফ্রেশ হতে। ছোটবোন মিতার জ্বালায় অতিষ্ট সে। সকালে একটু ভাল করে ঘুমাতে পারে না। রাতে তাকে আবার গল্প বলে ঘুম পাড়াতে হয়। অসহ্য। তবে মাঝে মাঝে তাকে ছাড়া অচল রিতা। মিতা বোন হিসেবে কানায় কানায় পরিপূর্ন করে রেখেছে।
…এই আপু কলেজ যাচ্ছি?
…জি.. মহারানী।
…একটু মাথাটা নিচে নামা।
…কেন?
…নামা বলছি।
…ওফ! হুমম।
…ওম্মাহহহ।
…এটাকি আর্শীবাদ?
…না। তোর কপালে চুমু দিছি। তোকে আমি এত্তগুলো ভালবাসি।
…এই! এই! আমি আজ কিছু আনতে পারব না।
…প্লিজ আপু। একটা কিটকেট মাত্র।
…ওরে বাবা। পারব না।
…এ্যা এ্যা এ্যা।
…আচ্ছা আচ্ছা। আনব।
ওফ মাথাটা নষ্ট করে দিকে সে। প্রতিদিন কলেজ যাওয়ার সময় এই অবস্হা। কিছু না কিছুর চাহিদা থাকবেই। তা ও আবার ইমোশনাল ব্ল্যাক মেইল করে। আনতে হবেই হবে। না হয় সেদিন আর রক্ষা নেই।
এভাবেই কাটে মিতা রিতা দুবনের সারাদিন। ঝগড়া, কুনসুটি মারামারি লেগেই থাকে। হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দেয় মেয়েটা। তবে এই আচরন রিতার সহ্য সীমা অতিক্রম করে মাঝে মাঝে। আবার প্রান ভরে ভালও বাসে। একদিন তাড়াহুড়ো করে বাসায় চলে আসে রিতা। কিন্তু হঠাৎ কি যেন মনে করে আনেনি। ওহ কিটক্যাট আনা হয়নি দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসে।
হঠাৎ একদিন অংক করছিল রিতা। মাথাটা পুরাই গরম। এমনি মিতা ঘরে ঢুকে তার
ডিসটার্ব করল। সাথে সাথে রিতা তাপ্পড় মারল। এমনি মিতা দৌড়ে গেল কান্না করতে
করতে। চলে যাব আমি, এই ঘরে থাকব না। কেউ আমায় ভালবাসে না। কেউ না। বলতে
বলতে দৌড়াতে দৌড়াতে নিচে নামতে লাগল। আচমকা ফ্লোরে পানিতে পা পিচলে পড়ে
গেল। পড়তে পড়তে একেবারে নিচ তলায় যেখানে নিচ তলার কিসের যেন কাজ চলছিল।
এমনি একটা দাড়ানো রড়ে তার পেট গুতো খেল। সাথে সাথে আত্ম চিৎকার।
সবাই দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল। রিতা দৌড়ে তাকে কোলে নিল। রক্তাক্ত দেহ রক্তে লাল হয়ে গেল। রিতার হাত পা জামা সবকিছু। দ্রুত হাসপাতালে নিয়া হল। রক্ত প্রয়োজন। রক্ত দেয়া হল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাচানো গেল না। মিতা দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিল। রিতা ডুকরে ডুকরে কাদতে লাগল। তার জন্যই মিতার এই অবস্হা। রিতা কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারল না। সেটা সে নিজেই বুঝতে পারে যখন সকালে কেউ ডাকে না, যখন কিটক্যাট নিয়ে আসলেও কেউ খোজে না, যখন রাতে ঘুমানোর সময় কেউ গল্প শোনার বাহানা ধরে না।
সবই শেষ, একটি দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়া আজ সবকিছুই বীলিন। (কাল্পনিক)
সবাই দৌড়াদৌড়ি করতে লাগল। রিতা দৌড়ে তাকে কোলে নিল। রক্তাক্ত দেহ রক্তে লাল হয়ে গেল। রিতার হাত পা জামা সবকিছু। দ্রুত হাসপাতালে নিয়া হল। রক্ত প্রয়োজন। রক্ত দেয়া হল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাচানো গেল না। মিতা দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিল। রিতা ডুকরে ডুকরে কাদতে লাগল। তার জন্যই মিতার এই অবস্হা। রিতা কিছুতেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারল না। সেটা সে নিজেই বুঝতে পারে যখন সকালে কেউ ডাকে না, যখন কিটক্যাট নিয়ে আসলেও কেউ খোজে না, যখন রাতে ঘুমানোর সময় কেউ গল্প শোনার বাহানা ধরে না।
সবই শেষ, একটি দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়া আজ সবকিছুই বীলিন। (কাল্পনিক)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন