রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

********^মেঘা^*********

********^মেঘা^*********

___________________
Writen by→[ শেষ সন্ধ্যার কবি]
→মেঘা আর অন্তিক ক্লাসমেট। সেই ছোটবেলা থেকেই তাদের মাঝে অনেক ভালো সম্পর্ক।সব ফ্রেন্ডসদের মাঝে মেঘা একটু অন্যরকম। মেঘা দেখতে যেমন স্মার্ট তেমনি অনেক সুন্দর।তার গুনের কোনো শেষ নেই। সব দিকেই মেঘা ফার্স্ট। স্টুডেন্ট হিসেবেও অনেক ভালো। যাইহোক আজ মেঘা ভার্সিটিতে গেলো এইটা মেঘার ফার্স্ট ক্লাস তাই একটু লাজুক লাজুক ভাব মেঘার।
←অন্তিক আবার প্রতিদিনেই মেঘার ভার্সিটির সামনে মেঘার জন্যে অপেক্ষা করে মেঘা কখন আসবে!মেঘাকে যেনো কোনো ছেলে বিরক্ত না করতে পারে তাই অন্তিক মেঘাকে ভার্সিটি থেকে মেঘার বাসা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে আসে।
→অন্তিক মেঘার অনেক কেয়ার করে,মেঘাও অন্তিকের অনেক কেয়ার করে,মেঘা ভার্সিটিতে পড়লে কি হবে মেঘার মাঝে এখনও পিচ্চি পিচ্চি ভাব।
→মাঝে মাঝে ওদের রিলেশনে ঝগড়াও হয় কিন্তু অন্তিক এসব কিছুই মনে নেয় না কারন অন্তিক ভাবে মেঘা বুঝে না আর একটু বড় হলে সব বুঝবে।মেঘা দিন দিন বড় হচ্ছে আর জীবনকে হে'ল্ল বানিয়ে দিচ্ছে, বেশ উগ্র টাইপের হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে মেঘার একটা এফবি আইডি খুলে দিলো অন্তিক।
→যে দিন থেকে অন্তিক আইডি খুলে দিয়েছিল সেদিন থেকে অন্তিকের মনে ভয় জেগে উঠেছিল যে, মেঘা যদি অন্তিক কে ছেড়ে চলে যায় সেই ভয়টা অন্তিকের মনে সব -সময় কাজ করে।
→মেঘা এফবি আইডি খুলার পর ঘন্টায়, ঘন্টায় মেঘার পিক আপলোড দেয় আর মেঘার পিকে অনেক ছেলেরাই আজেবাজে কমেন্ট করে তাও মেঘা কিছু বলে না , ও এফবিতে মুটামুটি ভালোই সেলেব্রিটি হয়ে উঠেছে আর এখন অন্তিককে সময় না দিয়ে এফবিতেই বেশির ভাগ সময় কাটিয়ে দেয়। নীল নামের এক ছেলের সাথে ফেবুর মাদ্ধ্যমে রিলেশনেও হয়ে গেলো, মেঘার বিএফ এখন নীল আর অন্তিককের জন্যে মেঘার ভালবাসা অন্তিকের জন্যে এক বিন্দু পরিমান নেই ।
→অন্তিকের মনে মেঘার জন্যে অনেক সপ্ন, আর সেই মেঘা আজ অন্তিককে ছেড়ে দিয়ে নীলের সাথে রিলেশন করবে অন্তিক কখনও ভাবতে পারে নি ,
...লোকে বলে না, বেশি আশার ভাত নেই আসলেই তাই অন্তিকের মাঝে দেখা যাচ্ছে।
→অন্তিক মেঘার জন্যে কি এমন করে নাই,মানুষ যেমন মেরুদণ্ড ছাড়া চলতে পারে না অন্তিকেও মেঘাকে ছাড়া এক মুহূর্ত ও চলতে পারতো না।অন্তিক মেঘাকে তার চলার সাথী মনে করতো।
→অন্তিক কিছু দিন পর মেঘা আর নীলের রিলেশনের কথা জেনে ফেলছে।অন্তিক জানার পর মনে মনে ভাবছে আমি মেঘাকে কিছু বলবো না , আসলে আমারেই দোষ সব। অন্তিক নিজেকে কন্ট্রোল করার মতো ছেলে।এখন আর মেঘার সাথে অন্তিকের কোনো যোগাযোগ নেই।কি আর হবে যোগাযোগ করে?
→অন্তিক বেশ কিছুদিন পর মেঘা আর নীলকে একসাথে মার্কেটে দেখে । অন্তিক মেঘাকে ডাক দিবে না দিবে কিনা এ নিয়ে ভাবছে।দুটানা মন নিয়ে মেঘাকে ডাক দিলো এই মেঘা একটু দাড়াও,
মেঘার কাছে এই কন্ঠটা খুব পরিচিত মনে হচ্ছে তারপর মেঘা পিছু ফিরে দেখে অন্তিক দারিয়ে আছে এ দেখে মেঘা তো অবাক আর মনে মনে ভাবছে আল্লাহ জানে অন্তিক কি করে!সাথে আবার নীল।
→মেঘা পিছু ফিরে বলে জী বলেন কি বলবেন,
তারপর অন্তিক বলা শুরু করলো^আচ্ছা মেঘা তুমি কেন আমার সাথে এমন করলে, কেন এত সপ্ন দেখালে আমাকে,আগেই না করে দিতে আমি তাহলে দূরে সরে যেতাম, কি এমন করিনি তুমার জন্যে , আর হুম নীল ভাইয়া আপনি কেমন মানুষ আপনি জানতেন না,মেঘা আমার পুরু প্রিথিবী টা মেঘাকে আমার কাছে থেকে কেন নিলেন আপনি??মেঘা আমি তুমাকে আইডি খুলে দিয়ে কোন ভূল করেছি? আচ্ছা মেঘা তুমি সুখে থাকো আমি এটাই চাই, আমি যাচ্ছি এই বলে অন্তিক চলে গেলো।
→মেঘা অন্তিকের এসব কথা শুনে কানেই নেই নি।নীলকে মিথ্যা কথা বলে বুঝিয়েছে এই নীল তুমি জানো, অন্তিক নামের এই ছেলেটি আমাকে বিরক্ত করতো আর আমি পাত্তা দেই নি বলে তাই তুমার সামনে এসব বাজে কথা বলছে।
সত্যি মিথ্যা বলে নীলকে বুঝিয়েছে আর নীল এও বুঝে গেসে।
→আর অন্তিক এখন বেশ সুখেই আছে কিন্তু মেঘাকে এখনও অনেক ভালবাসে।অন্তিক মাঝে মাঝে সেই পুরুনো সৃতি মনে করলে কেদেঁ কেদেঁ বালিশ বিজিয়ে ফেলতো কিন্তু এখন আর কাদে না কারন কেঁদে কোনো লাভ নেই সে আর মেঘাকে পাবে না।
→মানুষ কোনো কিছুতে ব্যর্থ হলে ভাবে তার জীবন নষ্ট করে দিবে, ড্রাগ নিবে তাহলে সে তার প্রিয় মানুষকে ভূলতে পারবে, একচুয়েলি এসব ভূল ধারনা,এসব পাগলামু না করে নিজের জীবনটা সুন্দর করে গুছিয়ে নিন তাহলে জীবনে বড় হতে পারবেন। আর মানুষ কে যত বিস্বাস করবেন সে আপনাকে বড় ধরেনের ধোকা দিবেই যা সহ্য করার মতো না।যাইহোক সব মেয়েরা তো এক না, তাই রিলেশন করবেন ভালো কথা কিন্তু একটু ভেবে-চিন্তে করলেই ভালো।
→বিদ্র:ইহা সমপূৃর্ন কাল্পনিক ঘটনা কিন্তু বাস্তবতার সাথে মিল আছে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন