Romantic Story.@

দুস্টু মিস্টি ভালবাসা...
জানালার পর্দা সরিয়ে দিতেই
সকালের রোদ
এসে অর্ণবের চোখে পড়ল।লিভা নামের
পাগলীটি ঘুমন্ত
অর্ণবের
পাশে বসে কানে শুড়শুড়ি দিতে লাগল।
হালকা ঘুম
ভাঙতেই লিভাকে জড়িয়ে ধরল অর্ণব।
--এই ছাড়ো ছাড়ো।
-- না ছাড়ব না।আগে তোমার
মিস্টি ঠোঁটের ছোঁয়া দাও
তারপর ছাড়ব।
-- এই দুস্টু দুস্টামি বাদ দাও। পাশের
ঘরে মা সব শুনবে।
--আহ্।আমার বউরে আমি আদর করছি কেউ
শুনলে আমার কি!!
-- মা মা।আপনার ছেলে ...
--দাড়াও দেখাচ্ছি মজা।
লিভার ঠোঁটে হালকা ভালবাসার পরশ
দিয়ে উঠে পড়ে অর্ণব। মাত্র তিনমাস
হয়েছে লিভা ও
অর্ণবের বিয়ে।পারিবারিক ভাবেই
বিয়ে হয়েছে তাদের।
দুটি অপরিচিত মানুষ তবু মাত্র এই
তিনমাসে ভালবাসার
স্বর্গ গড়ে তুলেছে দুজন দুজনকে ঘিরে।
দুজনার
মাঝে সবসময় ভালবাসার খুনশুটি লেগেই
থাকে।
সকালে মা আর লিভার
সাথে নাস্তা করে অফিসে চলে যায়
অর্ণব। যাওয়ার
আগে পাগলীটার কপালে একটা চুমু
দিতে ভুল হয়
না অর্ণবের।
অফিসে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই লিভার
ফোন।
-হ্যালো বাবু।কি কর?
-- কি আর করব।অফিসের কাজ করছি।
--হুম্।সারাদিন শুধু অফিসের কাজই করো।
একটুও
মনে পড়ে না বুঝি আমায়।একটুও
ভালবাসো না তুমি আমায়।
তুমি অনেক পঁচা।
--কে বলছে তোমায়
ভালবাসি না সোনা।তোমায় অনেক
ভালবাসি আমি।সবসময়
মনে পড়ে তোমার কথা।
--হুম্। কচু।মনে পড়লে ঠিকই ফোন
দিতে একবার।
--এইমাত্র তো অফিসে আসলাম।
এখনি ফোন দিলে হয়
বলো?
--থাক থাক আর কারণ দেখাতে হবে না।
আর শোন আজ
তাড়াতাড়ি বাসায় আসবা দুপুরে।
একসাথে খাব।তোমায়
ছাড়া আমার থাকতে একটুও
ভালো লাগে না।
--এই পাগলি আজ অফিসে মিটিং আছে।
আজ
দুপুরে আসতে পারব না।
--ঠিক আছে আসতে হবে না।আমিও খাব
না দুপুরে।
--ওকে ওকে আসব আসব।এখন রাখি বাই।
ভালবাসি তোমায়।
--ওকে বাই।আমিও তোমায় খুব
ভালবাসি।
ফোনটা রেখে দেয় অর্ণব।
নিজেকে অনেক ভাগ্যবান
মনে হয় ওর।পাগলীটা অনেক
বেশি কেয়ার করে ওর।
ঠিক ১২টার সময় অফিস থেকে বের
হয়ে ফুলের
দোকানে যাই অর্ণব। একগুচ্ছ লাল
গোলাপ নেয়।লাল
গোলাপ লিভার অনেক পছন্দের।ঠিক
তখনি ফোন
বেজে ওঠে অর্ণবের।
--হ্যালো বাবা।কোথায় তুই?
--কেন মা কি হয়েছে?
--বৌমা হঠাৎ জ্ঞান
হারিয়ে পড়ে গেছে।
--কি বলছ মা?? কখন? কিভাবে?
-- সব কথা পরে বলব।তুই
এখনি অ্যাপোলো হাসপাতালে চলে আয়।
দ্রুত ছুটে যায় অর্ণব অ্যাপোলোতে ।
ডাক্তারের
কাছে লিভার কথা বলতেই ডাক্তার
বলে,
--কনগ্রেচুলেশন মিঃ অর্ণব। আপনি শীঘ্রই
বাবা হতে যাচ্ছেন।
আজ অনেক খুশি অর্ণব। দৌড়ে ছুটে যায়
লিভার কেবিনে।
হাতে থাকা একগুচ্ছ লাল গোলাপ
দিয়ে বলে,"ভালবাসি তোমায়
পাগলি অনেক বেশি "।
———RJ Rajesh