সকালে ভার্সিটিতে যাচ্ছিলাম।
অনেকটা পরিপাটি হয়ে একটু
নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে বের হলাম।
বাসার নিচে আসতেই
উপর থেকে
একটা চিরকুট এসে পড়লো সামনে।
চিরকুট টা হাতে নিয়ে
খুলে দেখলাম তাতে একটিমাত্র বাক্য
লিখা, "একটু
উপরে তাকান". যাই হোক,
কোনো কালবিলম্ব না
করে উপরে তাকালাম। হঠাৎই এক
বালতি ঠান্ডা পানি এসে আমার
মাথায় পড়লো। সেই সাথে মিষ্টি এক
মুচকি হাসির শব্দ
শুনলাম। কিন্তু উপরে কাউকেই দেখলাম
না।
উফ..!! অসহ্য..!! কে করলো এই কাজটা?
নিশ্চই উপরের
তলার বজ্জাত পিচ্ছি মেয়েটা।
মেয়েটার জ্বালায় কোথায় যে যাই।
সারাক্ষণ আমার
পিছে লেগেই থাকে।
এইতো সেদিন, বাসার
ছাদে বসে ফেসবুকিং করতেছিলাম
আর হেডফোনে গান শুনতেছিলাম। আমি
দেখিনি বজ্জাত মেয়েটা আমার বসার
জায়গাটার ঠিক
উপরেই একটা বালু ভর্তি ব্যাগ
ঝুলিয়ে রাখছিল। একটু
পরেই বালুসহ ব্যাগটা আমার মাথায়
এসে পড়লো। আমার
সারা শরীরে বালু আর বালু। হঠাৎ
একটা মুচকি হাসির শব্দ
শুনলাম। আশেপাশে তাকিয়ে কাউকেই
দেখলাম না।
বেশ কিছুদিন পর...
বিকাল বেলায় ছাদে গিয়ে দেখলাম
মেয়েটি ছাদে আমার বসার
চেয়ারে চুইং-গাম
লাগাচ্ছিল। মেয়েটি কে
হাতেনাতে ধরে পেললাম। আমার
সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েটি নিচের
দিকে তাকিয়ে আছে।
মুখে কোনো কথা নেই। বুঝলাম
মেয়েটি থর
থর করে কাঁপতেছিল। আমি
একটু ধমকের স্বরে বললাম,
"এই পিচ্ছি তোমার মতলবটা কি
শুনি..!!". মেয়েটা কিছুই বললো না।
চোখের
কোণে দুফোটা অশ্রু দেখতে পেলাম।
তারপর মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে
চলে গেল। আমার নিজের্ও খুব খারাপ
লাগছিল।
ধমকটা কি খুব জোরে দিয়ে ফেলছি?
মাত্র দুমাস হলো এই বাসায় এসেছে।
এই দুমাসেই আমার
লাইফের
বারটা বাজিয়ে দিল। মেয়েটির নাম
অরিন।
চঞ্চলা অরিন। দশম শ্রেণীর
মেধাবী স্টুডেন্ট। অত্যাধিক
চঞ্চল, দুষ্টু। আর সেই সাথে অত্যাধিক
সরল ও নরম্ও বটে।
মুখমন্ডলে স্পষ্ট মায়ার
চাপ। হরিণীর চোখ। চেহারায় প্রচন্ড
ইনোসেন্ট ভাব।
ইনোসেন্ট ভাব হলেও
মেয়েটা বজ্জাতের একসের..!!
সব কিছু মিলিয়ে মোহ জাগার মতই।
কিন্তু কেন
জানি মেয়েটির প্রতি আমার মোহ
জাগছিল না। জাগছিল
না বললেও ভুল হবে।
মাঝে মাঝে মেয়েটার দুষ্টুমি গুলো খুব
ভালো লাগে।
কেন জানি
মনে হয় মেয়েটি যদি সারা জীবন
আমার সাথে এরকম
দুষ্টুমি
করতো..!!
বেশ কিছুদিন ধরে অরিন এর
মাঝে পরিবর্তন লক্ষ
করতেছি। মেয়েটার মাঝে আগের সেই
চঞ্চলতা নেই।
আগের মত আর দুষ্টুমি করে না।
মেয়েটার দুষ্টুমি গুলো বড়ই
মিস করতেছি..!!
বর্ষাকাল। শ্রাবণের আকাশে ঘাড়
কালো মেঘ জমেছে।
মেঘ জমেছে আমার মনের আকাশেও।
ছাদে গেলাম। অরিন
কে দেখলাম
ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
তার্ও কি মন খারাপ?
হয়তো
বা খারাপ..!!
ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ
বৃষ্টি শুরু হলো। ঝুম বৃষ্টি।
দুজন্ই এসে সিঁড়ির রুমে দাঁড়ালাম।
অরিন আমার
সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
কারো মুখে কোনো কথা নেই।
বাইরে
মুষলধারার বৃষ্টি, সেই সাথে
ঠান্ডা বাতাস। হালকা শীতের
উষ্ণতায় অরিন
কাঁপতেছে বুঝতে পারলাম।
হঠাৎই খুব জোরে শব্দ করে একটা বাজ
পড়লো। অরিন ভয়
পেয়ে
আমায় জাপটে ধরলো। খুব শক্ত করেই
ধরলো। তার গায়ের
কাঁপুনিতে মনে হচ্ছিল
পুরো পৃথিবীটাই কাঁপতেছে। ওই
অবস্থাতে কতক্ষণ সময় কেটে গেছিল
জানি না। শুধু
জানি অরিন যখন আমায়
ছেঁড়ে দিয়েছিল
তখন বাইরে বৃষ্টি ছিল না, ছিল রোদ।
আর সেই
রোদে বৃষ্টির
পানি গুলোও তখন শুকিয়ে গেছিল...
-
-
অনেকটা পরিপাটি হয়ে একটু
নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে বের হলাম।
বাসার নিচে আসতেই
উপর থেকে
একটা চিরকুট এসে পড়লো সামনে।
চিরকুট টা হাতে নিয়ে
খুলে দেখলাম তাতে একটিমাত্র বাক্য
লিখা, "একটু
উপরে তাকান". যাই হোক,
কোনো কালবিলম্ব না
করে উপরে তাকালাম। হঠাৎই এক
বালতি ঠান্ডা পানি এসে আমার
মাথায় পড়লো। সেই সাথে মিষ্টি এক
মুচকি হাসির শব্দ
শুনলাম। কিন্তু উপরে কাউকেই দেখলাম
না।
উফ..!! অসহ্য..!! কে করলো এই কাজটা?
নিশ্চই উপরের
তলার বজ্জাত পিচ্ছি মেয়েটা।
মেয়েটার জ্বালায় কোথায় যে যাই।
সারাক্ষণ আমার
পিছে লেগেই থাকে।
এইতো সেদিন, বাসার
ছাদে বসে ফেসবুকিং করতেছিলাম
আর হেডফোনে গান শুনতেছিলাম। আমি
দেখিনি বজ্জাত মেয়েটা আমার বসার
জায়গাটার ঠিক
উপরেই একটা বালু ভর্তি ব্যাগ
ঝুলিয়ে রাখছিল। একটু
পরেই বালুসহ ব্যাগটা আমার মাথায়
এসে পড়লো। আমার
সারা শরীরে বালু আর বালু। হঠাৎ
একটা মুচকি হাসির শব্দ
শুনলাম। আশেপাশে তাকিয়ে কাউকেই
দেখলাম না।
বেশ কিছুদিন পর...
বিকাল বেলায় ছাদে গিয়ে দেখলাম
মেয়েটি ছাদে আমার বসার
চেয়ারে চুইং-গাম
লাগাচ্ছিল। মেয়েটি কে
হাতেনাতে ধরে পেললাম। আমার
সামনে দাঁড়িয়ে মেয়েটি নিচের
দিকে তাকিয়ে আছে।
মুখে কোনো কথা নেই। বুঝলাম
মেয়েটি থর
থর করে কাঁপতেছিল। আমি
একটু ধমকের স্বরে বললাম,
"এই পিচ্ছি তোমার মতলবটা কি
শুনি..!!". মেয়েটা কিছুই বললো না।
চোখের
কোণে দুফোটা অশ্রু দেখতে পেলাম।
তারপর মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে
চলে গেল। আমার নিজের্ও খুব খারাপ
লাগছিল।
ধমকটা কি খুব জোরে দিয়ে ফেলছি?
মাত্র দুমাস হলো এই বাসায় এসেছে।
এই দুমাসেই আমার
লাইফের
বারটা বাজিয়ে দিল। মেয়েটির নাম
অরিন।
চঞ্চলা অরিন। দশম শ্রেণীর
মেধাবী স্টুডেন্ট। অত্যাধিক
চঞ্চল, দুষ্টু। আর সেই সাথে অত্যাধিক
সরল ও নরম্ও বটে।
মুখমন্ডলে স্পষ্ট মায়ার
চাপ। হরিণীর চোখ। চেহারায় প্রচন্ড
ইনোসেন্ট ভাব।
ইনোসেন্ট ভাব হলেও
মেয়েটা বজ্জাতের একসের..!!
সব কিছু মিলিয়ে মোহ জাগার মতই।
কিন্তু কেন
জানি মেয়েটির প্রতি আমার মোহ
জাগছিল না। জাগছিল
না বললেও ভুল হবে।
মাঝে মাঝে মেয়েটার দুষ্টুমি গুলো খুব
ভালো লাগে।
কেন জানি
মনে হয় মেয়েটি যদি সারা জীবন
আমার সাথে এরকম
দুষ্টুমি
করতো..!!
বেশ কিছুদিন ধরে অরিন এর
মাঝে পরিবর্তন লক্ষ
করতেছি। মেয়েটার মাঝে আগের সেই
চঞ্চলতা নেই।
আগের মত আর দুষ্টুমি করে না।
মেয়েটার দুষ্টুমি গুলো বড়ই
মিস করতেছি..!!
বর্ষাকাল। শ্রাবণের আকাশে ঘাড়
কালো মেঘ জমেছে।
মেঘ জমেছে আমার মনের আকাশেও।
ছাদে গেলাম। অরিন
কে দেখলাম
ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে আছে।
তার্ও কি মন খারাপ?
হয়তো
বা খারাপ..!!
ওর পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম। হঠাৎ
বৃষ্টি শুরু হলো। ঝুম বৃষ্টি।
দুজন্ই এসে সিঁড়ির রুমে দাঁড়ালাম।
অরিন আমার
সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
কারো মুখে কোনো কথা নেই।
বাইরে
মুষলধারার বৃষ্টি, সেই সাথে
ঠান্ডা বাতাস। হালকা শীতের
উষ্ণতায় অরিন
কাঁপতেছে বুঝতে পারলাম।
হঠাৎই খুব জোরে শব্দ করে একটা বাজ
পড়লো। অরিন ভয়
পেয়ে
আমায় জাপটে ধরলো। খুব শক্ত করেই
ধরলো। তার গায়ের
কাঁপুনিতে মনে হচ্ছিল
পুরো পৃথিবীটাই কাঁপতেছে। ওই
অবস্থাতে কতক্ষণ সময় কেটে গেছিল
জানি না। শুধু
জানি অরিন যখন আমায়
ছেঁড়ে দিয়েছিল
তখন বাইরে বৃষ্টি ছিল না, ছিল রোদ।
আর সেই
রোদে বৃষ্টির
পানি গুলোও তখন শুকিয়ে গেছিল...
-
-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন