রাসেল বাই, আমি সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি । ইটস সো উইয়ার্দ ।
ঘটনাটি ঘটে ক্লাস সিক্সে । স্কুল ছুটির পর এক মেয়ের সাথে প্রায়ই কথা হত । মেয়েটি একদিন বলল,
- তোমার মোবাইল আছে?
- নাই ।
- একটা কিনে ফেল তাড়াতাড়ি । আমরা রাত জেগে মোবাইলে কথা বলব ।
আমি সেদিনই বাসায় গিয়ে আব্বাকে বললাম,
- আব্বা মোবাইল লাগবে ।
- কি করবি?
- আমার ক্লাসের এক বান্ধবী বলেছে সে নাকি রাত জেগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলবে ।
- মানে প্রেম করবি? অকা । কাল তোকে মোবাইল কিনে দিচ্ছি ।
পরেরদিন বাপজান মোবাইল কিনে দিল । আমি প্রথমেই সেই বান্ধবীকে কল করে জানিয়ে দিলাম মোবাইল কিনেছি ।
রাত দুটায় মেয়েটিকে আমি কল দিলাম । এরপর ঘটে আসল ঘটনা । যা আমি আজও ভুলতে পারি না ।
কথা বলতে বলতে একসময় মোবাইল কেটে গেল । আমি ভয় পেয়ে গেলাম! এ কিসের আলামত? কল কেটে গেল কেন?
আমি বান্ধবীর নাম্বারে আবার কল দিলাম । এক মাইয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম । তবে কন্ঠটা বান্ধবীর ছিল না । সে বলল, আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স নেই । অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জ করুন ।
আমার অবস্থা তখন কাহিল । ভয়ে ঘামতে শুরু করলাম । ব্যালেন্স নাই মানে কি? আবার বলতেসে রিচার্জ করুন । মোবাইলে চার্জ আছে । তাহলে রিচার্জ করতে বলছে কেন? তবুও আমি চার্জ দিলাম ।
পনের মিনিট পর আবার কল দিলাম । আবারও সেই একই কন্ঠ । আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যালেন্স নেই, অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জ করুন ।
আমার বুঝতে বাকি রইল না যে এটা এক পিশাচিনীর কন্ঠ । তারপর আমি ছাদে গিয়ে পৈশাচিক মোবাইলটা পুকুরে ছুড়ে ফেলি এবং আমি সেনসলেস হয়ে যায় ।
ঘটনাটি এখানেই শেষ হতে পারত । ঐ ঘটনার পর আমি মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দি । ক্লাস এইটের ঘটনা । দুপুরে । আম্মার মোবাইল দিয়ে বন্ধুকে কল দিলাম । আবারও সেই পিশাচিনীর ভয়েস । আমি ভেবে পেলাম না আম্মার মোবাইলে এই পিশাচিনী এল কিভাবে?
আম্মাকে বলে দিলাম যে, তোমার মোবাইলে পিশাচিনী আছে । ফেলে দিও । পরে আম্মা আমাকে ঠাস ঠাস করে মেরে দিলেন !
কলেজ লাইফে আমার জন্মদিনে আমার এক বান্ধবী মোবাইল গিফট করল । আমি স্রেফ না করে দিলাম । ওকে পুরো ভৌতিক ঘটনা খুলে বললাম । বান্ধুবী বলল,
- ভয় পাস না । মোবাইলে টাকা না থাকলে এরকম সবারই হয় । শোন তুই মোবাইলে টাকা রাখবি । দোকানে গিয়ে ফ্লেক্সি দিবি । তাহলে আর পিশাচিনী আসবে না তোর মোবাইলে ।
সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করছি । মোবাইলে সবসময় ৫০টাকার উপরে থাকে ।
এই ছিল ঘটনা । ধন্যবাদ।
-
-
______RJ Rajesh.
ঘটনাটি ঘটে ক্লাস সিক্সে । স্কুল ছুটির পর এক মেয়ের সাথে প্রায়ই কথা হত । মেয়েটি একদিন বলল,
- তোমার মোবাইল আছে?
- নাই ।
- একটা কিনে ফেল তাড়াতাড়ি । আমরা রাত জেগে মোবাইলে কথা বলব ।
আমি সেদিনই বাসায় গিয়ে আব্বাকে বললাম,
- আব্বা মোবাইল লাগবে ।
- কি করবি?
- আমার ক্লাসের এক বান্ধবী বলেছে সে নাকি রাত জেগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলবে ।
- মানে প্রেম করবি? অকা । কাল তোকে মোবাইল কিনে দিচ্ছি ।
পরেরদিন বাপজান মোবাইল কিনে দিল । আমি প্রথমেই সেই বান্ধবীকে কল করে জানিয়ে দিলাম মোবাইল কিনেছি ।
রাত দুটায় মেয়েটিকে আমি কল দিলাম । এরপর ঘটে আসল ঘটনা । যা আমি আজও ভুলতে পারি না ।
কথা বলতে বলতে একসময় মোবাইল কেটে গেল । আমি ভয় পেয়ে গেলাম! এ কিসের আলামত? কল কেটে গেল কেন?
আমি বান্ধবীর নাম্বারে আবার কল দিলাম । এক মাইয়ার কন্ঠ শুনতে পেলাম । তবে কন্ঠটা বান্ধবীর ছিল না । সে বলল, আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স নেই । অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জ করুন ।
আমার অবস্থা তখন কাহিল । ভয়ে ঘামতে শুরু করলাম । ব্যালেন্স নাই মানে কি? আবার বলতেসে রিচার্জ করুন । মোবাইলে চার্জ আছে । তাহলে রিচার্জ করতে বলছে কেন? তবুও আমি চার্জ দিলাম ।
পনের মিনিট পর আবার কল দিলাম । আবারও সেই একই কন্ঠ । আপনার মোবাইলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্যালেন্স নেই, অনুগ্রহপূর্বক রিচার্জ করুন ।
আমার বুঝতে বাকি রইল না যে এটা এক পিশাচিনীর কন্ঠ । তারপর আমি ছাদে গিয়ে পৈশাচিক মোবাইলটা পুকুরে ছুড়ে ফেলি এবং আমি সেনসলেস হয়ে যায় ।
ঘটনাটি এখানেই শেষ হতে পারত । ঐ ঘটনার পর আমি মোবাইল ব্যবহার করা ছেড়ে দি । ক্লাস এইটের ঘটনা । দুপুরে । আম্মার মোবাইল দিয়ে বন্ধুকে কল দিলাম । আবারও সেই পিশাচিনীর ভয়েস । আমি ভেবে পেলাম না আম্মার মোবাইলে এই পিশাচিনী এল কিভাবে?
আম্মাকে বলে দিলাম যে, তোমার মোবাইলে পিশাচিনী আছে । ফেলে দিও । পরে আম্মা আমাকে ঠাস ঠাস করে মেরে দিলেন !
কলেজ লাইফে আমার জন্মদিনে আমার এক বান্ধবী মোবাইল গিফট করল । আমি স্রেফ না করে দিলাম । ওকে পুরো ভৌতিক ঘটনা খুলে বললাম । বান্ধুবী বলল,
- ভয় পাস না । মোবাইলে টাকা না থাকলে এরকম সবারই হয় । শোন তুই মোবাইলে টাকা রাখবি । দোকানে গিয়ে ফ্লেক্সি দিবি । তাহলে আর পিশাচিনী আসবে না তোর মোবাইলে ।
সেদিন থেকে আজ পর্যন্ত মোবাইল ব্যবহার করছি । মোবাইলে সবসময় ৫০টাকার উপরে থাকে ।
এই ছিল ঘটনা । ধন্যবাদ।
-
-
______RJ Rajesh.
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন