______স্বর্গীয় ভালোবাসা
লিখা:- শেষ সন্ধ্যার কবি
.
.
--কি গো,এখনো হয়নি তোমার?
--একটু অপেক্ষা করো না।হচ্ছে তো
--এত সেজে কি করবে।আমি তো তোমায় সবসময়ই দেখি!
--আজ প্রথম একটু সাজছি,তাও তোমার জন্য। আজ একটু আলাদা করে দেখবে,তাই।
পেছন থেকে তৃনাকে জড়িয়ে ধরে শুভ্র,তারপর বলে,
--আমার কাছে,তুমি সবসময়ই একই রকম।আলাদা করে দেখব কেন??
--এই ছাড় না।শাড়িটা আবার নষ্ট হয়ে যাবে।
--যাক।বুড়ি হয়ে এত সেজে কি করবে?
--কি?আমি বুড়ি হয়েছি??
--হুমম।গাল গুলো কেমন ঝুলে পরেছে দেখ।
--কি,আমার গাল ঝুলে পরেছে?
--শুধু গাল না।গলার চামরাটা দেখ কেমন ঢিলে হয়ে গেছে।বিশ্রি লাগছে তোমাকে।
আয়নায় ভালো করে তাকায় তৃনা।তারপর করুন স্বরে বলে,
--শুভ্র,সত্যিই আমায় বিশ্রি দেখাচ্ছে?
হাসতে হাসতে শুভ্র বলে,
--হুমমম
--তাহলে বাইরে যাব না।
--কেন?
--খারাপ দেখাচ্ছে।তোমার সাথে বের হলে মানুষ হাসবে।
--হাসলে হাসবে।তারাতারি চলো,,,
--শুভ্র,সত্যিই আমাকে বুড়ির মত দেখায়?
তৃনার গালে একটা ছোট্ট চুমু দেয়। শুভ্র,তারপর আদর করে বলে,
--আমার বউ পৃথিবীর সেরা সুন্দরী। বুড়ির মত দেখাবে কেন।এখন দ্রুত চল।
হালকা একটা হাসির রেখা ফুটে ওঠে তৃনার মুখে।তারাতারি সব গুছিয়ে শুভ্রর হাত ধরে বাইরে বের হয় তৃনা।
.
শুভ্র আর তৃনার বিয়ে হয়েছে দু বছর হল।আজ ভালোবাসা দিবস।তাই বাইরে ঘুরতে যাচ্ছে ওরা দুজন।কোথায় যাবে,এখনো ঠিক করে নি।বিয়ের আগে প্রেম করে নি শুভ্র।তাই বিয়ের পরই প্রেম করছে।তৃনাও শুভ্রের মত।স্বামী স্ত্রীর স্বর্গীয় প্রেমটা ভালোবাসা দিবসে তাই মধুময় হয়ে ওঠে।
.
বাইরে এসে একটা রিক্সা ডাকে শুভ্র।দুজনে উঠে বসে রিক্সায়।রিক্সা চলতে শুরু করে।রিক্সাচালক জিজ্ঞেস করে,
--কই যাবেন?
--আপনি সামনে চলেন।কোথায় যাব ঠিক নেই।
রিক্সাচালক আর কিছু বলে না।
কিছুক্ষণ পরই রিক্সা আসে টাউন হলের কাছে।গান হচ্ছে ওখানে।তৃনা বলে,
--চলনা,ওখানে একটু যাই।
--ওখানে গিয়ে কি করবে?
--দেখছ না,কত মানুষ এসেছে,চল না একটু।
--চল।
রিক্সার ভাড়াটা মিটিয়ে টাউন হলের সামনে যায় ওরা দুজন।একজন তরুনী হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান হাইছে,'ভালোবাসসি ভালোবাসি,,,,সেই সুরে, কাছে দুরে, জলে স্থলে বাজায় বাশি...'
শুভ্র তৃনার দিকে তাকায়।
--এভাবে দেখছ কেন?
--ভালোবাসি।।
--এত মানুষের সামনে কি বলছ তুমি।
--কেন,আমর বিয়ে করা বউকে ভালোবাসি বললে কার কি ক্ষতি!!
.
--তৃনা,.....
পেছন থেকে বেশ উচ্চস্বরে ডাকে কেউ।পেছন ফিরে দাড়ায় ওরা দুজন,।পেছনে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে দেখে একটু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে,
--আরে হিমেল,তুই এখানে?
-হুমমম।কেমন আছিস?
--ভালো,তুই কেমন আছিস?
--ভালোই।
পরিচর করিয়ে দেই,
--এ হলো শুভ্র,আমার স্বামী।শুভ্র,এ হল হিমেল,আমার কলেজের বন্ধু।
হিমেলের সাথে হ্যন্ডসেক করে শুভ্র।
হাতটা ছেড়ে দিয়ে হিমেল বলে,
--তৃনা,মনে আছে,তিন-চার বছর আগে এই ভালোবাসা দিবসে কত মজা করেছিলাম আমরা!
--হ্যা,মনে আছে।
--সেদিন তোর মুখে কত রং মাখিয়েছিলাম আমি!
--আমিও কিন্ত তোকে ভিজিয়ে দিয়েছিলাম।
ওরা দুজন পুরনো দিনের কথায় মেতে ওঠে।শুভ্র যে ওখানে আছে ভুলেই যায় তৃনা আর হিমেল।
.
শুভ্রর খুব খারাপ লাগে।তৃনা হিমেলকে পেয়ে শুভ্রকেই ভুলে গেল।একটু বিরক্ত হয়েই শুভ্র বলে,
--তৃনা,আমার মাথাটা খুব ব্যথা করছে।এখানে শব্দ বেশি,চল অন্য কোথাও যাই।
--এখনই যাবে!
হিমেল বলে,
--শুভ্র,আপনি না হয় ঘুরে আসুন।আমরা এখানেই আছি।
--একা যাব?
তৃনা একটু হেসে বলে,
--তাই করো,যাও শুভ্র,আমরা এখানেই আছি।
শুভ্র আর কিছু বলে না।ওদের ওখান থেকে একটু দুরে চলে আসে।দুরে দাড়িয়ে ওদের আলাপ দেখতে থাকে।
.
দেখতে দেখতে কেটে যায় প্রায় দু ঘন্টা।ওদের আলাপ শেষ হয় না।একটু কাছে গিয়ে শুভ্র বলে,
--তৃৃনা,আমি বাসায় যাচ্ছি,তুমি পরে এসো।
--আরে না।আমি কি একা যাব নাকি?
--একা কেন যাবে।হিমেল রেখে আসবে।
--না।আমি তোমার সাথে যাব।
হিমেলের কাছে বিদায় নিয়ে রাস্তায় আসে ওরা।কয়েক ঘন্টা আগের সেই আনন্দটা আর নেই শুভ্রের।একটা রিক্সায় উঠে বসে ওরা।
.
রিক্সায় কোন কথা বলেনি শুভ্র।বাসায় এসে কিছু না বলেই শুয়ে পরে।
--শুভ্র,কিছু বলছ না কেন?
--কি বলব?আমার সাথে কথা বলে তুমি সময় নষ্ট করবে কেন?
--কি বলছ তুমি?
--আমি কিছু বলতে চাই না।
--তাহলে এভাবে কথা বলছ কেন?
--আমি এভাবেই কথা বলি।হিমেল সাহেব সুন্দর করে কথা বলতে পারে।পারলে বাসায় ডেকে আন।
--তুমি কি বলছ শুভ্র।
--আমি আর কি বলব,পুরনো প্রেমিক ফিরে এসেছে,আমার কথা কি ভালো লাগবে?
--ও আমার বন্ধু শুভ্র,
--কেমন বন্ধু,বুঝে গেছি।
--তুমি একটু বেশি বুঝেছ শুভ্র,
--কি,আমি বেশি বুঝেছি,ঠাস করে সশব্দে একটা চর বসিয়ে দেয় তৃনার গালে।
গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থাকে তৃনা।চোখের কোনে দু ফোটা অশ্রু জমা হয়।গাল বেয়ে গড়িয়ে পরার আগেই ঘর থেকে বের হয়ে যায় তৃনা।
.
তৃনা বের হতেই প্রচন্ড একটা কষ্ট বুকে আঘাত করে শুভ্রর।শুভ্র ভাবে,নাহ,ওর তো কোন দোষ নেই।তাহলে শুধু শুধু সন্দেহ করছে কেন সে?
.
ঘর থেকে বের হয় শুভ্র,দেখে তৃনা রান্নাঘরে রান্না করছে।দরজায় দারিয়ে থাকে শুভ্র।মাঝে মাঝে চোখ মুছছে মেয়েটা।নিঃশব্দে কাদছে,,,
.
শুভ্র আবার এসে শুয়ে পরে।রান্না শেষ করে তৃনা নিজে খায় না।শুভ্রর জন্য খাবার প্রস্তত করে এসে শুয়ে পরে।আস্তে করে বলে,
--টেবিলে সব রাখা আছে।খেয়ে নিও
--তুমি খাবে না।
তৃনা কিছু বলে না।শুভ্র আবার বলে,
--সরি!!আমার ভুল হয়ে গেছে।
--তৃনা নিঃশব্দে শুয়ে থাকে।
শুভ্র বিছানা থেকে ওঠে।টেবিল থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসে।
--তৃনা,প্লিজ রাগ করো না।আসো,এক সাথে খাই।
--তৃনা ওঠে না।
খাবারটা টেবিলে রেখে শুভ্র বলে,
--ঠিক আছে।আমিও খাব না।
পাশে শুয়ে শুভ্র তৃনার ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ শুনতে পায়।তৃনার গায়ে ধরে বলে,
--ভুল হয়ে গেছে,কেদ না প্লিজ।
আচমকা শুভ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তৃনা।এতক্ষনে যে মেঘ আকাশে উরছিল,আচমকা বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে।
.
স্বমী স্ত্রী র ভালোবাসাটা স্বর্গীয়। সাময়িক জটিলতা সম্পর্কটা আরো মধুময় হয়ে ওঠে।।
.
.
--কি গো,এখনো হয়নি তোমার?
--একটু অপেক্ষা করো না।হচ্ছে তো
--এত সেজে কি করবে।আমি তো তোমায় সবসময়ই দেখি!
--আজ প্রথম একটু সাজছি,তাও তোমার জন্য। আজ একটু আলাদা করে দেখবে,তাই।
পেছন থেকে তৃনাকে জড়িয়ে ধরে শুভ্র,তারপর বলে,
--আমার কাছে,তুমি সবসময়ই একই রকম।আলাদা করে দেখব কেন??
--এই ছাড় না।শাড়িটা আবার নষ্ট হয়ে যাবে।
--যাক।বুড়ি হয়ে এত সেজে কি করবে?
--কি?আমি বুড়ি হয়েছি??
--হুমম।গাল গুলো কেমন ঝুলে পরেছে দেখ।
--কি,আমার গাল ঝুলে পরেছে?
--শুধু গাল না।গলার চামরাটা দেখ কেমন ঢিলে হয়ে গেছে।বিশ্রি লাগছে তোমাকে।
আয়নায় ভালো করে তাকায় তৃনা।তারপর করুন স্বরে বলে,
--শুভ্র,সত্যিই আমায় বিশ্রি দেখাচ্ছে?
হাসতে হাসতে শুভ্র বলে,
--হুমমম
--তাহলে বাইরে যাব না।
--কেন?
--খারাপ দেখাচ্ছে।তোমার সাথে বের হলে মানুষ হাসবে।
--হাসলে হাসবে।তারাতারি চলো,,,
--শুভ্র,সত্যিই আমাকে বুড়ির মত দেখায়?
তৃনার গালে একটা ছোট্ট চুমু দেয়। শুভ্র,তারপর আদর করে বলে,
--আমার বউ পৃথিবীর সেরা সুন্দরী। বুড়ির মত দেখাবে কেন।এখন দ্রুত চল।
হালকা একটা হাসির রেখা ফুটে ওঠে তৃনার মুখে।তারাতারি সব গুছিয়ে শুভ্রর হাত ধরে বাইরে বের হয় তৃনা।
.
শুভ্র আর তৃনার বিয়ে হয়েছে দু বছর হল।আজ ভালোবাসা দিবস।তাই বাইরে ঘুরতে যাচ্ছে ওরা দুজন।কোথায় যাবে,এখনো ঠিক করে নি।বিয়ের আগে প্রেম করে নি শুভ্র।তাই বিয়ের পরই প্রেম করছে।তৃনাও শুভ্রের মত।স্বামী স্ত্রীর স্বর্গীয় প্রেমটা ভালোবাসা দিবসে তাই মধুময় হয়ে ওঠে।
.
বাইরে এসে একটা রিক্সা ডাকে শুভ্র।দুজনে উঠে বসে রিক্সায়।রিক্সা চলতে শুরু করে।রিক্সাচালক জিজ্ঞেস করে,
--কই যাবেন?
--আপনি সামনে চলেন।কোথায় যাব ঠিক নেই।
রিক্সাচালক আর কিছু বলে না।
কিছুক্ষণ পরই রিক্সা আসে টাউন হলের কাছে।গান হচ্ছে ওখানে।তৃনা বলে,
--চলনা,ওখানে একটু যাই।
--ওখানে গিয়ে কি করবে?
--দেখছ না,কত মানুষ এসেছে,চল না একটু।
--চল।
রিক্সার ভাড়াটা মিটিয়ে টাউন হলের সামনে যায় ওরা দুজন।একজন তরুনী হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান হাইছে,'ভালোবাসসি ভালোবাসি,,,,সেই সুরে, কাছে দুরে, জলে স্থলে বাজায় বাশি...'
শুভ্র তৃনার দিকে তাকায়।
--এভাবে দেখছ কেন?
--ভালোবাসি।।
--এত মানুষের সামনে কি বলছ তুমি।
--কেন,আমর বিয়ে করা বউকে ভালোবাসি বললে কার কি ক্ষতি!!
.
--তৃনা,.....
পেছন থেকে বেশ উচ্চস্বরে ডাকে কেউ।পেছন ফিরে দাড়ায় ওরা দুজন,।পেছনে দাড়িয়ে থাকা ছেলেটাকে দেখে একটু উচ্ছ্বসিত হয়ে বলে,
--আরে হিমেল,তুই এখানে?
-হুমমম।কেমন আছিস?
--ভালো,তুই কেমন আছিস?
--ভালোই।
পরিচর করিয়ে দেই,
--এ হলো শুভ্র,আমার স্বামী।শুভ্র,এ হল হিমেল,আমার কলেজের বন্ধু।
হিমেলের সাথে হ্যন্ডসেক করে শুভ্র।
হাতটা ছেড়ে দিয়ে হিমেল বলে,
--তৃনা,মনে আছে,তিন-চার বছর আগে এই ভালোবাসা দিবসে কত মজা করেছিলাম আমরা!
--হ্যা,মনে আছে।
--সেদিন তোর মুখে কত রং মাখিয়েছিলাম আমি!
--আমিও কিন্ত তোকে ভিজিয়ে দিয়েছিলাম।
ওরা দুজন পুরনো দিনের কথায় মেতে ওঠে।শুভ্র যে ওখানে আছে ভুলেই যায় তৃনা আর হিমেল।
.
শুভ্রর খুব খারাপ লাগে।তৃনা হিমেলকে পেয়ে শুভ্রকেই ভুলে গেল।একটু বিরক্ত হয়েই শুভ্র বলে,
--তৃনা,আমার মাথাটা খুব ব্যথা করছে।এখানে শব্দ বেশি,চল অন্য কোথাও যাই।
--এখনই যাবে!
হিমেল বলে,
--শুভ্র,আপনি না হয় ঘুরে আসুন।আমরা এখানেই আছি।
--একা যাব?
তৃনা একটু হেসে বলে,
--তাই করো,যাও শুভ্র,আমরা এখানেই আছি।
শুভ্র আর কিছু বলে না।ওদের ওখান থেকে একটু দুরে চলে আসে।দুরে দাড়িয়ে ওদের আলাপ দেখতে থাকে।
.
দেখতে দেখতে কেটে যায় প্রায় দু ঘন্টা।ওদের আলাপ শেষ হয় না।একটু কাছে গিয়ে শুভ্র বলে,
--তৃৃনা,আমি বাসায় যাচ্ছি,তুমি পরে এসো।
--আরে না।আমি কি একা যাব নাকি?
--একা কেন যাবে।হিমেল রেখে আসবে।
--না।আমি তোমার সাথে যাব।
হিমেলের কাছে বিদায় নিয়ে রাস্তায় আসে ওরা।কয়েক ঘন্টা আগের সেই আনন্দটা আর নেই শুভ্রের।একটা রিক্সায় উঠে বসে ওরা।
.
রিক্সায় কোন কথা বলেনি শুভ্র।বাসায় এসে কিছু না বলেই শুয়ে পরে।
--শুভ্র,কিছু বলছ না কেন?
--কি বলব?আমার সাথে কথা বলে তুমি সময় নষ্ট করবে কেন?
--কি বলছ তুমি?
--আমি কিছু বলতে চাই না।
--তাহলে এভাবে কথা বলছ কেন?
--আমি এভাবেই কথা বলি।হিমেল সাহেব সুন্দর করে কথা বলতে পারে।পারলে বাসায় ডেকে আন।
--তুমি কি বলছ শুভ্র।
--আমি আর কি বলব,পুরনো প্রেমিক ফিরে এসেছে,আমার কথা কি ভালো লাগবে?
--ও আমার বন্ধু শুভ্র,
--কেমন বন্ধু,বুঝে গেছি।
--তুমি একটু বেশি বুঝেছ শুভ্র,
--কি,আমি বেশি বুঝেছি,ঠাস করে সশব্দে একটা চর বসিয়ে দেয় তৃনার গালে।
গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে থাকে তৃনা।চোখের কোনে দু ফোটা অশ্রু জমা হয়।গাল বেয়ে গড়িয়ে পরার আগেই ঘর থেকে বের হয়ে যায় তৃনা।
.
তৃনা বের হতেই প্রচন্ড একটা কষ্ট বুকে আঘাত করে শুভ্রর।শুভ্র ভাবে,নাহ,ওর তো কোন দোষ নেই।তাহলে শুধু শুধু সন্দেহ করছে কেন সে?
.
ঘর থেকে বের হয় শুভ্র,দেখে তৃনা রান্নাঘরে রান্না করছে।দরজায় দারিয়ে থাকে শুভ্র।মাঝে মাঝে চোখ মুছছে মেয়েটা।নিঃশব্দে কাদছে,,,
.
শুভ্র আবার এসে শুয়ে পরে।রান্না শেষ করে তৃনা নিজে খায় না।শুভ্রর জন্য খাবার প্রস্তত করে এসে শুয়ে পরে।আস্তে করে বলে,
--টেবিলে সব রাখা আছে।খেয়ে নিও
--তুমি খাবে না।
তৃনা কিছু বলে না।শুভ্র আবার বলে,
--সরি!!আমার ভুল হয়ে গেছে।
--তৃনা নিঃশব্দে শুয়ে থাকে।
শুভ্র বিছানা থেকে ওঠে।টেবিল থেকে কিছু খাবার নিয়ে আসে।
--তৃনা,প্লিজ রাগ করো না।আসো,এক সাথে খাই।
--তৃনা ওঠে না।
খাবারটা টেবিলে রেখে শুভ্র বলে,
--ঠিক আছে।আমিও খাব না।
পাশে শুয়ে শুভ্র তৃনার ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্নার শব্দ শুনতে পায়।তৃনার গায়ে ধরে বলে,
--ভুল হয়ে গেছে,কেদ না প্লিজ।
আচমকা শুভ্রকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে তৃনা।এতক্ষনে যে মেঘ আকাশে উরছিল,আচমকা বৃষ্টি হয়ে নেমে আসে।
.
স্বমী স্ত্রী র ভালোবাসাটা স্বর্গীয়। সাময়িক জটিলতা সম্পর্কটা আরো মধুময় হয়ে ওঠে।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন