রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

স্কুলের ড্রেস পড়া এক
জোড়া পিচ্চিকে দেখলাম
রাস্তার ধারে বসে আলাপ করছে।
আলাপ
না বলে প্রেমালাপ বলাই ভাল।
তাদের
হাসতে হাসতে একে অপরের গায়ের
উপর ঢলে পড়ার
দৃশ্য তাই প্রমান করে!
আমি আম্মাকে আঙুল তুলে দেখালাম,
“দেখছ আম্মা?
এই বয়সের পোলাপান কি করতেছে! এই
বয়সে আমি গল্পের বই আর ক্রিকেটের
বাইরে অন্য
কিছু ভাবতেও পারতাম না!”
আম্মা বলল, “নিশ্চয়ই স্কুল
ফাঁকি দিয়ে আসছে দুইটায়
মিলে!”
আম্মার ইদানীং শরীর ভাল
যাচ্ছে না। বাতের
সমস্যা। ডাক্তার
বলছে মাঝে মাঝে একটু হাঁটতে বের
হতে। আমি তাই
বিকেলে মাকে নিয়ে একটু বাড়ির
কাছে কবরস্থানের মাঠে গিয়েছিলাম
হাঁটাহাঁটি করতে। কিন্তু কোনায়
চিপায় এমন সব দৃশ্য
দেখে দেখে মায়ের পাশে হাঁটাটা খুব
অস্বস্তিকর!
আম্মা বলল, “দাঁড়া একটু
মজা করি এদের সাথে!”
আমি নিষেধ করলাম, “আরে না না!
এখনকার
পোলাপান ভাল না। তুমি কিছু
বলতে গেলে তোমার
সাথে উলটো বেআদবি করবে এরা!”
“বেআদব কীভাবে সামাল দিতে হয়
তা আমার
জানা আছে!” বলে আম্মা ঐ
পিচ্চি প্রেমিকযুগলের
দিকে এগিয়ে গেল।
আমি তো পারলে দাঁত
দিয়ে নিজের হাত কামড়াই! ইস!
আম্মা কি না কি বলে!
না জানি কি অনিষ্ট হয়!
আম্মা ওদের দুজনের ঠিক
পিছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে জোরে একটা চিৎকার
দিল,
“নিমকহারাম!”
দুই কপোত-
কপোতী আঁতকে উঠে পিছনে তাকাল!
আশেপাশের আরও অনেক
মানুষকে দেখলাম-
থমকে দাঁড়িয়েছে মায়ের চিৎকার
শুনে! ঘটনা কি?
আম্মা বলে চলেছে,
“তোরে স্কুলে পাঠাইছি লেখা পড়া করতে!
আর তুই এই
খানে বইসা পিরিত করস? আইজ তোর
একদিন
কি আমার একদিন!”
মুহূর্তের মাঝে দুজনে হাওয়া! প্রেমিক
দিল এক
দিকে দৌড়, প্রেমিকা আরেক দিক!
আমি তো তাদের
পড়িমরি করে ছুটে যাওয়ার দৃশ্য
দেখে হাসতে হাসতে মাটি গড়াগড়ি দেই-
এমন
অবস্থা! আশে পাশের মানুষরাও
ব্যাপারটা বুঝতে পেরে হাসতে হাসতে খুন!
আমার হাসি দেখে আম্মাও আর
হাসি চেপে রাখতে পারল না!
আমি জিজ্ঞেস করলাম,
“আম্মা ব্যাপারটা কি হইল কিছুই
তো বুঝলাম না!
ওরা তোমারে দেখে কি বুঝে পালাইল?”
আম্মা বলল, “কথা বলার সময় আমি দুই
জনের দিকেই
তাকাইছিলাম।
ছেলে ভাবছে আমি মেয়ের মা, আর
মেয়েটা ভাবছে আমি ছেলের মা!
দুইজনের তাই
ভয়ে দৌড়!”
‪#‎আম্মা‬ পারেও! কি সব সাংঘাতিক
কান্ড যে ঘটায়!

-
-
_____RJ Rajesh.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন