রবিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

LOVE StorY

"এই! উঠো! আজকে অফিসে যাবে না?
সকাল ৮টা বেজে গেছে এখনও অলস
সাহেবের মত ঘুমুচ্ছে!"
"উম্ম!একটু ঘুমোতে দাও না! সারাদিন
শুধু কাজ আর কাজ!একদিন একটু বিশ্রাম
নিলে ক্ষতি কোথায়!"
শুভ্রর এই কথায়
আবারো চেঁচিয়ে ওঠে সুরভী,
"ইশ! সাহেবের ঢঙ দেখ!
আচ্ছা আজকে অফিসে যেতে হবে না,
তুমি আজকে আমাকে নিয়ে শপিং করতে মার্কেটে যাবে,
চল"
"খাইছেরে!"
ঘুম থেকে এক রকম লাফ দিয়েই উঠে যায়
শুভ্র!
আর কোন কথা না বলেই
তোয়ালে টা নিয়ে
বাথরুমের উদ্দেশ্যে পা বাড়ায়!
শুভ্রর এমন কান্ড দেখে পাশেই
দাঁড়িয়ে মুচকিভাবে হাসতে থাকে সুরভী
শুভ্র এবং সুরভীর বিবাহিত
জীবনে এটা প্রায় নিত্যনৈমিত্তিক
ঘটনা। প্রায় প্রতিদিনই
সকালবেলা শুভ্র ঘুম থেকে উঠতেই চায়
না এবং সুরভী তাকে প্রায় জোর করে ঘুম
থেকে জাগায়। একদিন যদি শুভ্র ঘুম
থেকে উঠতে না চায় তাহলে সুরভী তার
উপর পানি ঢেলে দেয়, কিংবা তার
গায়ে চিমটি কাটে অথবা শপিং এ
যাওয়ার কথা বলে শুভ্রকে ভয় দেখানোর
চেষ্টা করে।
শুভ্র এবং সুরভীর বিয়ের দু বছর
হতে চলল। শুভ্র
এবং সুরভী একে অপরকে ভালবেসে বিয়ে করায়
তাদের পরিবার তাদের এই
বিয়ে মেনে নিতে পারেনি। তাই শুভ্র
এবং সুরভী ঢাকার এক অভিজাত এলাকার
একটি বাড়িতে তাদের স্বপ্নের নীড়
খুঁজে নেয়। পরিবারের
সবাইকে ছেড়ে চলে আসলেও শুভ্র
এবং সুরভী দম্পতি এখন বেশ সুখেই
জীবনযাপন করছে।
তারা একে অপরকে এমনি মন প্রান
দিয়ে ভালবাসে যে, শুভ্র
কখনো সুরভীকে তাদের
বাবা মা কে ফেলে আসার দুঃখ
বুঝতে দেয় না এবং সুরভীও শুভ্রের
প্রতি যথেষ্ট খেয়াল রেখে তাদের
কষ্টগুলোকে একে অপরের কাছে আড়াল
করে রাখে।
বাথরুম থেকে ফ্রেশ
হয়ে বাইরে বেরিয়ে আসল শুভ্র।
ডাইনিং টেবিলে শুভ্রর জন্য
চা এবং পাউরুটি নিয়ে অপেক্ষা করছে সুরভী।
ডাইনিং টেবিলের সামনে গিয়ে সুরভীর
দিকে এক পলকে তাকিয়ে থাকে শুভ্র।
সুরভীর মায়া ভরা দু চোখ,ফর্সা গালের
টোল,চাঁদের মত মুখটি দেখে শুভ্র
বিমোহিত হয়ে যায়! সুরভীর
সুরভীমাখা বদনখানির সঙ্গে তার
পরিহিত হলুদ শাড়ি পারফেক্ট ম্যাচ
করেছে!
এই যে মিস্টার! কি দেখছেন অমন
হা করে! চা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে তো!
জলদি খেতে বসুন।
না মানে, তোমাকে দেখতে খুব সুন্দর
লাগছে। এ যেন স্বর্গের এক পরী আমার
সামনে এসে দাঁড়িয়ে আছে!
সুরভীর ঠোঁটের
কোণে একটি লজ্জামাখা মিষ্টি হাসির
ঝলক দেখতে পাওয়া যায়
হয়েছে! হয়েছে! আর
প্রশংসা করতে হবে না! এবার
ঝলদি করে নাস্তা খেয়ে নিন।
তা না হলে আজকেও অফিসে যেতে লেট
হয়ে যাবে ।
শুভ্র নাস্তা খেয়ে নিয়ে কিছুক্ষনের
মধ্যেই অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত
হয়।
সবকিছু
গুছিয়ে নিয়ে সে অফিসে যাওয়ার জন্য
পা বাড়ায়...
পিছন থেকে কোমল
সুরে সুরভী বলে উঠে (রোমান্টিক স্বরে)
"এএএইইইই"
শুভ্র - "হুম?"
সুরভী - (রোমান্টিকভাবে) "তুমি আজকেও
একটি জিনিসের কথা ভুলে যাচ্ছ!
শুভ্র - (সুরভীর আরো নিকটে গিয়ে)
কি সেটা সুইট হার্ট
সুরভী -
(পূর্বাপেক্ষা আরো রোমান্টিকভাবে)
কাছে এসো,কানে কানে বলি
শুভ্র - (সুরভীর ঠোঁটের কাছাকাছি ঠোঁট
রেখে) বল...
সুরভী - তুমিইইইই...
শুভ্র - আমিইইইই...
সুরভী - (কানে কানে) তুমি তোমার
খাবারের টিফিন নিতে ভুলে যাচ্ছ।
যাও টিফিন নিয়ে যাও।
আর কক্ষনো টিফিন নিতে ভুল
করবা না.....

-
-
_______ শেষ সন্ধ্যার কবি

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন