শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০১৫

Story

- এখনই তোমার বন্ধু আবিরকে মেসেজ করো ।লিখো
যে...
"দোস্ত আমি আর কোন দিন সিগারেট খাবো না ।"
ফোনটা পকেট থেকে বের করে এক দৃষ্টিতে
তানজীমের দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি আমার
সাথে ও হয়তো মজা করছে ।তাই ওর কথা পাত্তা না
দিয়ে আমি আরও গভীর ভাবে এক দৃষ্টিতে তার
ফুরফুরে চুলে বাতাসের খেলা দেখতে লাগলাম ।
বলে রাখি ওর চোখের দিকে তাকাতে আমি এখনো
লজ্জা পাই ।একটু লাজুক কিনা তাই ।
- [ধমক দিয়ে] কি হলো এভাবে ষাঁড়ের মতন তাকিয়ে
আছো ক্যান?লিখো বলছি ।
তারপর আমি গাধার মতন টাইপ করতে থাকলাম
"Dost ami konodin r biri khabo na."
- লিখছো ?
- হ্যাঁ লিখেছি ।
- কই দেখি ?
চেক করার পরে বললো আরো লিখো যে
"তোর সাথে যতক্ষন থাকবো তুই আমাকে আর সিগারেট
খাওয়ার কথা বলবি না "
বাধ্য ছেলের মতন আবার লিখলাম
"Tor sathe joto khon thakbo tui amake ar biri khawar kotha
bolbi na"
- লিখছো ?
- হ্যাঁ ।
- এবার সেন্ড করো আর ডেলিভারী রির্পোট আমাকে
দেখাও ।মোবাইলটা আমার হাতে দাও ।তোমাকে
বিশ্বাস নাই ।তুমি যে আমার চেয়ে সিগারেটকে
বেশী ভালবাসো সেটা আমি জানি ।
মনে মনে বললাম, হে বালিকা হে সুন্দরী, তুমি কি
জানো আমি ক্যান সিগারেট ছাড়ি না ? কারন "তুমি
আমাকে ছ্যাকা দিবা কিন্তু এই সিগারেট আমাকে
কখনোই ছ্যাকা দিবে না "
- কই কি ভাবছো ফোনটা চাইলাম দাও ।
- [চমকে উঠে] এইযে এইযে নাও নাও দেখো দেখো ।
তানজীম মেসেজের ডেলিভারী অপশনে গিয়ে দেখলো
যে মেসেজটা ডেলিভারী হয়েছে ।
- বিশ্বাস হয়েছেতো এবার ফোনটা দাও ।
আমি ও কে একথা বলতেই ও বলে উঠলো
- ইভা কে?
- মীম কে?
- ফারিয়া কে?
- কাজল কে?
ইতিমধ্যে আমার গলার পানি শুকিয়ে হাটুর নিচে চলে
গেছে ।
আমি বল্লাম কেও না কেউ না ওরা সবই আমার বোন ।
তুমিতো জানো পৃথিবীর সব মেয়ে মানুষই আমার বোন
।তুমি যদি চাও তোমাকেও আমি বোন ডাকতে পারি ।
লাস্টের কথাটা ফুট করে মুখ দিয়ে বের হয়ে গেছে ।
-ফাজলামি করস তুই আমার সাথে ।তুই যা আমার
চোখের সামনে থেকে ।কুত্তা, বেয়াদব, আদা, রসুন,
পেয়াজ, লবন, ছাগাল, ভেড়া ইত্যাদি ইত্যাদি ।
তুমি থেকে যেহেতু তুই এ নেমে আসছে তখনই বুঝলাম
আমার কপালে আজ খারাপ আছে ।
বেইলী রোডের কেএফসি তে বসেছিলাম আমরা ।কত শখ
ছিল এক সাথে বসে আজ একটু মিষ্টি মধুর ভালবাসার
গল্প করবো ।কিন্তু আমার আশার মুখে ছাই দিয়ে বের
হয়ে যাচ্ছে তানজীম ।আর আমি ওর পিছন পিছন সরি
সরি বলতে বলতে ছুটছি ।
ওয়েটাররা আমাদের দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ।
মনে হচ্ছে ওরা যাত্রা পালা দেখতেছে ।ঢোলের
তালে তালে নায়িকার প্রস্হান আর নায়কের
নায়িকাকে না পাওয়ার আহাজারি আরকি ।
কেএফসির নিচে এসে দাড়ালাম ।তানজীম সোজা হেটে
চলে যাচ্ছে আর আমি সে পানে তাকিয়ে আছি ।
মেয়েটা কত সুন্দর করে হাটে দেখছো ।আহা মধু মধু ।
আসলে সুন্দরী মেয়েরা যাই করে তাইই সুন্দর লাগে ।
- তারা রাগ করলে সুন্দর লাগে ।
- হাসলে সুন্দর লাগে ।
- কাদলে সুন্দর লাগে ।
- চড় মারলে সুন্দর লাগে ।
- এমনকি হাগু করতে লাগলেও সুন্দর লাগে ।সরি সরি
লাস্টের কথাটা মুখ দিয়ে ফট করে বের হয়ে গেছে ।
যাই হোক তানজীমের চলে যাওয়া দেখে মনে হয়ে গেল
কবির সেই বিখ্যাত বানী ।কবি বলেছিলেন যে_
"চলে যাওয়া গার্লফ্রেন্ড আর চলে যাওয়া ঢাকা
শহরের বাসের পিছনে কখনো ছুটো না কারন সেটা
একটা চলে গেলে আরেকটা আসবে "
কবির নামটা ঠিক এসময় মনে করতে পারছি না ।
হুদাই মনে করার ব্যার্থ চেষ্টা করে লাভ নেই ।
দূর থেকে দেখলাম মেয়েটা রিক্সা ঠিক করছে ।
রিক্সাওয়ালারা মেবি ভাড়া বেশী চাচ্ছে না হয়
যেতে চাচ্ছে না ।ওর চোখে মুখে হতাশার চিন্হ
দেখলাম ।
হঠাত কেন জানি তানজীমকে দেখে আমার বুকের বাম
পাশটায় চিনচিনে ব্যাথা অনুভব হলো ।ভাবলাম, না
একে ছাড়া আমি থাকতে পারবো না ।একে আমার চাইই
চাই ।তাই তানজীমের দিকে এগিয়ে যেতে লাগলাম ।
কাছে যেতে না যেতেই ও রিক্সায় উঠে বসলো ।আমিও
আরেকটা রিক্সা ভাড়া করে সামনের রিক্সা কে
ফলো করতে বল্লাম ।
ওমনি রিক্সাওয়ালা তার পান খাওয়া লাল ৩২ টা দাত
বের করে বললো
- হে হে হে ।মামা, মামী রাগ করছে নাকি ?
- হুম ।
- ২০ টাকা বাড়ায় দিয়েন ।
- এতে আমার লাভ ?
- এইযে মামীরে ফলো করতে করতে যাব ।
মনটা চাইলো যে রিক্সা থেকে নেমে গিয়ে তার
রিক্সার সামনের চাকার হাওয়া ছেড়ে দেই ।যাই হোক
সেটা না করে অনেক কষ্ট করে মেয়েটার বাড়ির নিচে
গিয়ে পৌছালাম ।হ্যাঁ রিক্সাওয়ালাকে ৬০ টাকার
ভাড়া ৮০ টাকাই দিলাম ।
ওখানে গিয়ে দেখি আরেক বিপদ তানজীমের বাড়ির
দাড়োয়ান ।ধরুন নাম তার আক্কাস ।তিনি আমার
দিকে তার চোখ ৬০,১২০ ও ১৮০ ডিগ্রী কোণ করে বার
বার তাকাচ্ছে ।মনে হচ্ছে ছেলে মানুষ জীবনে দেখে
নি ।
আর PK মুভিতে ডান্সিং কার যেমনে সুন্দর করে
লাফাচ্ছিল তেমনি তানজীমের বাসার পাশের
ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের দোকানদারের চোখও
আমার দিকে তাকিয়ে ওমন করে লাফাচ্ছিল ।মনে
হচ্ছে এই বাসার সামনে কেউ কোন দিন কোন ছেলেকে
দেখে নি ।
আর অন্যান্য ফ্লাটের আন্টিদের কথা বা নাই
বল্লাম ।তারা বেলকুনিতে এসে এমন ভাবে লুক
দিচ্ছে যেন মনে হচ্ছে আমি একজন ফকির হয়ে তার
মেয়েদের এক সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছি, আর
বিয়ের যৌতুক হিসেবে তাদের কিডনী চেয়েছি ।
কি আর করার ।সবার সব কিছু উপেক্ষা করেই দাড়িয়ে
রইলাম রোদের মধ্যে ।সময় যায় মেয়েটাতো
বেলকুনেতে আসে না আর ফেসবুকেও আসছে না ।
উনাকে আবার সরাসরি ফোন দেওয়া বারন পিচ্চি
মেয়েতো এখনো ফোন ইউজ করে না
হটাত মেসেজ ।
- কই তুমি?
-তোমার বাসার নিচে ।
মিথ্যা বলার জায়গা পাও না ।কই দেখছি নাতো
তোমাকে ।
[তার মানে ও আমাকে খুজতেছে ।মানে মানে মেসেজ
গুলো দেখে ভালবাসা কমে নি ।ব্রেক আপ তাহলে আর
করবে না ।শান্তি শান্তি ।আমার ঠোঁটের কোনে
হাসি জেগে উঠলো]
আমি হাত নাড়লাম ও আমাকে দেখলো ।তারপর এইযে
রুমে ঢুকলো আর বের হয় না ফেসবুকেও আসেনা
বেলকুনিতেও আসে না ফোনেও ট্রাই করতে পারছি না
বাসা থেকে বেরও হচ্ছে না ।কি করি কি করি ।
ইতিমধ্যে আকাশ কালো হয়ে এসেছে মানে বৃষ্টি হবে
।দুই এক ফোটা পড়তেও শুরু করেছে দেখলাম ।তাও
আমি ওখানেই ঠাই দাডিয়ে থাকলাম ।
একটু পরেই দেখলাম লাল ড্রেস পরা একটা মেয়ে
তানজীমদের বাসার গেট দিয়ে বের হয়ে এগিয়ে আসছে
।ওমা এ দেখি তানজীম আমি চিনতেই পারছি না ।
মেয়েটাকে কি সুন্দর ই না লাগছে ।
কাছে এসে রাগান্বিত স্বরে আমাকে বললো সামনে
আমার চাচার বাসায় আমাকে এগিয়ে দিয়ে এসো ।
চাচার বাসা খুব বেশি দুরে না ।হেটে গেলে দশ পনের
মিনিট লাগবে ।একটা ছাতা নিয়ে আমি আর তানজীম
হাটতে লাগলাম বৃষ্টির ভিতর । একটু দুরে গেছি তখনই
একটা বাতাসের ঝটকা এল । এতো জোড়ে যে আমার হাত
থেকে ছাতা উড়ে গেল ।
মাথার উপর থেকে ছাতা সরে যেতেই যেটুকু ভিজতে
বাকি ছিল সেটুকুও ভিজে গেল ।
তানজীম আমার দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে যাবার
আগেই আমি বললাম
- দেখ । আমি কিছু করি নাই ।ঐ মেসেজ গুলা দেড় দুই
মাস আগের আর ঐখানে আমার বাসার বড় ভাইদেরও
কিছু মেসেজ আছে যেগুলো ভাইয়াদের ফোনে টাকা
না থাকার কারনে তারা তাদের গার্লফ্রেন্ডদের
পাঠিয়েছিল ।
- ঐ জন্যইতো আজকে তোমায় ছেড়ে দিলাম ।নইলে ...
এই কথা শুনে আমি ছাতার পিছনে দৌড় দিলাম । ছাতা
এনে দেখি তানজীম দুই হাত মেলে বৃষ্টিতে ভিজছে ।
ওর মুখে একটা নমনীয় ভাব । আমি কাছে এসে ছাতা
মেলতে গেলে ও বলল ওটার আর দরকার নাই । চল । আমি
ছাতা বন্ধ করে তানজীমের পাশে হাটতে লাগলাম ।
কি চমত্কার একটা সময় !
চারিদিকে বৃষ্টি পড়ছে । আমি আর তানজীম
পাশাপাশি হাটছি । যে কোন প্রেমিক প্রেমিকার
জন্যই এটা একটা স্মরনীও মুহুর্ত !
এখন কেবল তানজীমের হাতটা ধরতে পারলেই হল ।
আমি আমার সেন্ডেল খুলে হাতে নিলাম ।তানজীমও
তাই করলো । সেন্ডেল আর ছাতাটা একই
হাতে নিলাম যাতে করে অন্য
হাতটা ফাঁকা থাকে ওর হাত ধরার জন্য ।ওকে হাত
ধরতে বলবো কিনা ভাবছি ঠিক এই সময়েই ও আমার হাত
ধরলো ।
ঠান্ডা বৃষ্টির পানিতে একটু একটু কাঁপছিলাম।
তানজীমের হাতটা ধরে বুকের ভিতরেও ঠিক একই
রকম কাঁপন অনুভব করতে শুরু করলাম ।
বৃষ্টির বেগ বাড়ছেই । আমার সেদিকে আর খেয়াল নেই
। আমি তানজীমের হাত ধরে হাটছি ।
কেন জানি পৃথিবীর সব থেকে সুখি মানুষ মনে হচ্ছে
নিজেকে ।
"লিখাটি ৮২ % সত্যি ও ১৮% কল্পনার সমন্বয় ।কথা
হলো গিয়ে কোন মেয়ে বা ছেলে যদি আপনাকে
সত্যিই ভালবাসে আর তখন যদি সে আপনার কোন ভুল
পায় বা আপনি কোন অপরাধ করেন তখন সে আপনাকে
ছেড়ে যাওয়ার কারন হিসেবে ঐটা দেখাবে না আপনার
সাথে থাকার জন্য আপনাকে আর বেশী ভালবাসার
জন্য অন্য কারন খুজবে ।আর সে যদি তা না করে
তাহলে বুঝবেন আপনার ভালবাসায় ঘাটতি ছিল
বিশ্বাস ছিল না ।আপনি সেটা তার মধ্যে সৃষ্টি
করতে ব্যার্থ হয়েছেন ।"
-
-
লিখা --শেষ সন্ধ্যার কবি

●►মেয়েদের এত রূপ কেন?? ●►

●►মেয়েদের এত রূপ কেন?? ●►
ツ লিখাঃ শেষ সন্ধ্যার কবি ツ
==============================
======================================
►রিকশা দিয়ে ঘুরতে বের হলেন,
সাথে আছে গার্লফ্রেন্ড।
রিকশাওয়ালা রিকশা আস্তে আস্তে
চালাচ্ছে, তখন আপনার জিএফ বলবে,
"কেমন বিএফ রে বাবা!
রিকশাওয়ালাকে একটা ধমক দিতে
পারেনা, রিকশা কেন আস্তে
চালাচ্ছে?"
►যদি চুপচাপ বসে থাকেন, তাহলে
জিএফ বলবে,
"কেমন বিএফ আমার খালি চুপ করে
থাকে, কোন কথা বলে না, একদম
বোরিং।"
আবার যদি জিএফ এর সাথে মজার
মজার কথা বলেন থাহলে বলবে,
"কি ব্যাপার, ঘটনা কি? আজ এত ভাব
কেন? লক্ষণ তো সুবিধার নয়।"
►ডেটিংয়ে গিয়ে যদি এমনিতেই অন্য
দিকে তাকান, আশেপাশে কোন
মেয়ে থাকুক আর নাই থাকুক আপনার
জিএফ বলবে,
"ঐদিকে কি? চোখটা একদম উপড়ে
ফেলব, সারাদিন খালি মেয়েদের
দিকে তাকাও, আমাকে ভাল
লাগেনা আর তাইনা? তা লাগবে
কেন? আমি তো এখন পুরান হয়ে গেছি।"
আবার যদি শুধু তার দিকেই তাকিয়ে
থাকেন, তাহলে বলবে,
"আমাকে এত দেখার কি আছে? আমি
জানি এত সুন্দর নয়, এভাবে তাকিয়ে
থেকোনা মেকআপ নষ্ট হয়ে যাবে"
►বন্ধুদের সাথে কোথাও ঘুরতে গেলেন/
পার্টিতে গেলেন। আপনার অভিমানী
জিএফ ফোন করে বলবে,
"আজ না আমাদের দেখা করার কথা
ছিল। তুমি চলে গেলে ঘুরতে, আমার
থেকে তোমার বন্ধুরা বেশী
ইম্পরট্যান্ট তাইনা? ওকে ফাইন তুমি
থাক তোমার বন্ধুদের নিয়ে, খবরদার
আমাকে আর ফোন দিবা না" (টুট... টুট)
►আজ দেখা করার কথা, কোন কারণে
আপনি ৫মিনিট লেট, ব্যাস শুরু হয়ে
যাবে লঙ্কাকাণ্ড। রাগে লাল টুকটুকে
হয়ে আপনার জিএফ বলবে,
"আমার ব্যাপারে কোন কেয়ার ই নাই
তোমার। সেই কতক্ষণ থেকে তোমার
জন্য ওয়েট করতেছি, আর তুমি এতক্ষণে
এলে? যাও তোমার সাথে কথা নাই।"
অথচ জিএফ এর বেলায় ১ঘণ্টা লেট হলেও
কিছুই না।
আরো হাজারো ব্যাপারে হাজারো
রূপ আছে মেয়েদের, সব বলে শেষ করে
যাবে না। তাইতো কবি বলেছেন,
"মেয়েদের মন আকাশের রঙ"
►মেয়ে মানুষ স্রস্টার এক অপরূপ সৃষ্টি।
তবে মেয়েদের মন খুব নরম সেই মন যখন
কারো প্রেমে পড়ে তখন আরো নরম হয়ে
যায়।
একটি মেয়েকে আপনি কখনই পুরোপুরি
খুশি করতে পারবেন না, আর একটি
মেয়ের মন কখনই বুঝতে পারবেন না,
তারা হচ্ছে বহুরূপী। তাই আমার মতে
তাদের সবগুলো রূপ মনোযোগ দিয়ে
দেখা উচিত, হয়তো আসল রূপের দেখা
পেয়ে যেতে পারেন...
-
-
________
শেষ সন্ধ্যার কবি

রবিবার, ১৫ মার্চ, ২০১৫

অপেক্ষা....

তুমি খুব
সহজে আমাকে পেয়েছিলে...
হয়তো সে কারনেই খুব
সহজে আমাকে ভুলতে পেরেছো...
আমি এখনও প্রতিনিয়ত
খুঁজে বেড়াই তোমায়... কিন্তু
কোথাও
দেখা মেলেনা তোমার...
কারণ কেউ যদি নিজের
ইচ্ছায় লুকিয়ে থাকে...
তবে তাকে খুঁজে পাওয়া কঠিন...
তাই, আমি আজও তোমার
অপেক্ষায়.....

ছোট্ট একটি মেয়ে.....................

ছোট্ট একটি মেয়ে একদিন তার বাবাকে বলল,
বাবা জানো, আজকে আমার টিচার
আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার
বাবা কি করেন?”
তুমি কি উত্তর দিয়েছো মামনি?
আমি বলেছি, “আমার বাবা চকলেটের
ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। তাই অফিস
থেকে ফিরবার সময় আমার জন্য অনেক চকলেট
নিয়ে আসে। আমার বাবা আইস্ক্রিমের
দোকানেও কাজ করে। কারণ আমি যখন
যে ফ্লেভারের আইস্ক্রিম খেতে চাই, সেটাই
এনে দেয়। আমার বাবার একটা পুতুলের
দোকানও আছে। সেখান থেকে বাবা আমার
জন্য টেডি বিয়ার নিয়ে আসে।
বাবা আপনার মতো টিচারের কাজও করে।
আর আমাকে হোমওয়ার্ক করতে সাহায্য করে।
আমার বাবা সারাদিন অনেক কষ্ট করে...”
আমি ঠিক বলেছি না বাবা??
বাবা তার পুতুলটিকে শক্ত
করে বুকে জড়িয়ে ধরেন আর বলেন,
“হ্যাঁ মামনি, ঠিক বলেছো।”
মেয়েরা যতই বড় হোক না কেন, সারাজীবন
বাবার রাজকন্যা হয়েই থাকে...!!!
-
______
শেষ সন্ধ্যার কবি


শনিবার, ৭ মার্চ, ২০১৫

ভালবাসার শেষ
-কুয়াশাস্নাত আকাশ
ফোনের রিংটোনে ঘুম ভাঙে অর্ণবের।
--হ্যালো....রাত্রি।
--হ্যালো, এই অর্ণব সকাল ৮টা বাজে আর তুমি এখনো ঘুমাচ্ছ !!
--না বাবু।আমি ঘুমিয়ে থাকলে তোমার সাথে এখন কথা বলছে কে?
--হইছে হইছে আর বলতে হবে না।কি করছ তা বোঝা হয়ে গেছে আমার।এই শোন এখনি উঠে ফ্রেশ হবা তুমি।আর ৯টার ভিতরে সেন্ট্রাল পার্কে আসবে।১মিনিট লেট হইলে খবর আছে তোমার।
--জোঁ হুকুম মহারাণী।
তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হতে গেল অর্ণব। কারণ জানে একটু লেট হইলে রাত্রি আজ সারাদিন হয়ত কান ধরিয়েই দাড়ান করে রাখবে তাকে।আস্ত একটা পাগলি মেয়েটা। তবু পাগলীটার পাগলামিকেই খুব ভালবাসে অর্ণব। অন্তত নিজের থেকে বেশি ভালবাসে সে রাত্রিকে।
.
.
সকাল ৯টা,এইমাত্র পার্কে এসে পৌছাল অর্ণব। দূর থেকেই দেখতে পেল কোণার বেঞ্চটাতে মলিন মুখে বসে আছে রাত্রি।রাত্রির দিকে এগিয়ে গেল অর্ণব।
--এই পাগলী এমন পেঁচার মতো মূখ করে বসে আছ কেন?
--অর্ণব তোমায় কিছু বলার আছে আমার।
--হুম।বলো।
--অর্ণব আমি তোমায় ভালবাসি না।কখনো বাসিও নি।গত সাতমাস যা কিছু হইছে সব ভুলে যাও। এ সবই শুধু অভিনয় ছিল।
--এসব কি বলছ তুমি? রাত্রি,এমন ফান করা কিন্তু ঠিক হচ্ছে না।
--ফান না অর্ণব। যা বলছি সবই সত্যি।আমি রাজকে ভালবাসি অর্ণব। তোমাকে না।
--কিন্তু রাত্রি আমি যে শুধু তোমায় ভালবাসি।তোমায় ছাড়া বাঁচব না অামি।
--হাহ্ ভালবাসো? ? কি যোগ্যতা আছে তোমার আমাকে ভালবাসার?তোমার স্ট্যাটাস আর আমার স্ট্যাটাস কখনোই মেলে না অর্ণব। তোমার সাথে বড়জোর টাইমপাস করা যায়।কিন্তু ভালবাসা!!!ইম্পসিবল।
রাত্রি চলে যায় সব সম্পর্কের শেষ করে।অর্ণব বুঝতে পারে না কি করবে। যাকে নিয়ে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখেছিল আজ সেই চলে যাচ্ছে তাকে ছেড়ে।স্বাভাবিক জীবনে আর ফেরা হয় না অর্ণবের। হারিয়ে যায় নেশার মাঝে।
....
....
১বছর পর,
ইদানীং রাজ রাত্রিকে এড়িয়ে চলছে। রাত্রির খুব খারাপ লাগে রাজ তাকে এমন এড়িয়ে চললে।কিন্তু যেভাবেই হোক আজ রাজের সাথে কথা বলতেই হবে রাত্রিকে।
--হ্যালো রাজ।
--জান আমি এখন একটু ব্যস্ত আছি।পরে কথা বলব তোমার সাথে।
--রাজ একটু শোন প্লিজ।
--ওকে কি বলবে তাড়াতাড়ি বলো।
--রাজ,আমি পেগন্যান্ট।
--কি???
--হ্যা রাজ।চলো আমরা বিয়ে করে ফেলি। তাছাড়া আমি কাউকে মূখ দেখাতে পারব না।
--কি বল।মাথা ঠিক আছে তোমার? আমার পক্ষে এখন তোমায় বিয়ে করা কোন ভাবেই সম্ভব না।
--প্লিজ রাজ এভাবে বলো না।তাহলে আমার বেঁচে থাকার কোন পথ থাকবে না।
--রাত্রি তুমি বাচ্চাটা নষ্ট করে ফেল।
আর কোন কথা বলে না রাত্রি। শুধু ফোনের লাইনটা কেটে দেয়।
....
কিছুদিন পর ইউনিভার্সিটি বিল্ডিং এর সামনে রাত্রির লাশ পাওয়া যায়। ছাদ থেকে পড়ে আত্মহত্যা করে রাত্রি।
আর অপরদিকে হাসপাতালের বেডে শুয়ে আজ শেষ নিঃশ্বাসের অপেক্ষা করা ছাড়া কিছুই করার নেই অর্ণবের। কারণ অর্ণব যে আজ ক্যান্সারের শিকার.........

-
-
===  শেষ সন্ধ্যার কবি

It;s Real Life

এ ভাইয়া ডাক ক্যান ব্রেক ইউর ড্রিম
সকাল ৮টা। মোবাইলের এলার্মের কর্কশ শব্দে ঘুম ভাঙে অনিমের। উঠে রেডি হয়েই কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বাস আসতে দেরি হওয়ায় বাস স্ট্যান্ড এর পাশের চায়ের দোকান থেকে একটা সিগারেট নিয়ে তা টানতে থাকে আর আবার স্ট্যান্ড এ এসে দাড়ায়। আর সিগারেটের ধোয়ার মাঝেই দেখতে পায় এক মায়াপরি।ছোটখাটো ক্রাশ খায় অনিম।
মেয়েটা অনিম দের কলেজ এই ফার্স্ট ইয়ারে নতুন ভর্তি হয় নাম আনিকা।
বাস আসলে আনিকা ও অনিম দুজনেই উঠে।ড্রাইভারের পাশের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বসে পড়ে আনিকা আর সিট না পেয়ে দাড়িয়েই থাকে অনিম।
অনিম এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে আনিকার দিকে। সম্বতি ফিরে পেল হেল্পারের ধাক্কায়।
হেল্পার: মামা ভাড়া দেন
অনিম ভাড়া দেয়ার উদ্দেশ্যে পকেটে হাত দিয়েই দেখে মানিব্যাগ টা নেই তার অন্যমনস্কতার সুযোগ নিতে পকেটমার টা একটুও ভুল করেনি
অনিমের মুখের দিকে তাকিয়ে বুঝতে পেরে ভাড়া না নিয়েই সামনের দিকে চলে যায়।
কলেজেও ক্লাস করতে পারছেনা অনিম শুধুই আনিকার চিন্তা।অনিমের সমস্ত পৃথিবীটা যেন আনিকার ওই মায়াবি মুখেই সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে।
কলেজ শেষে হিসাববিজ্ঞান স্যারের বাসায় গিয়েও আনিকা কে দেখতে পায় অনিম খুশিতে তো প্রায় আত্মহারা হয়ে পড়ে অনিম।
অনিম আনিকার এক বছরের সিনিয়ার।
আনিকা অংক করতে গিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে স্যার কে বলে স্যার ব্যস্ত থাকায় আনিকাকে অনিমের কাছ থেকে বুঝে নিতে বলে
আনিকা অনিমের সামনে এসে বসে অনিমের কোন খেয়াল নেই শুধু আনিকাকে দেখাই ওর একমাত্র কাজ
এই কাজে ভাটা পড়লো আনিকার ডাকে
আনিকা: ভাইয়া আমি এই অংক টা বুঝতেছি না। স্যার বলছে আপনার কাছ থেকে বুঝে নিতে একটু বুঝিয়ে দিন প্লিজ ভাইয়া।
একটা ভাইয়া ডাকেই অনিমের সব আশা ভরসা ভালোবাসার চাহনি কাচের মতো ভেঙে যায়।
অনিম এর ভালোলাগার সমাপ্তি এখানেই।
এভাবেই কত অনিমের ভালোলাগার শেষ হয়ে যায় একটি ভাইয়া ডাকে।
 

লেখক:v শেষ সন্ধ্যার কবি

-- ★ পরন্ত বিকেলে এসেছিলে তুমি ★--

-- ★ পরন্ত বিকেলে এসেছিলে তুমি ★--
-------------------------- ★-------------------------
রিক্সা থেকে নেমে ভাড়া'টা চুকিয়ে ব্রীজের একটি পাশে যেয়ে দাড়ায় ''অভ্র'' ! কিছুক্ষণ পরেই অবন্তী আসবে , ঘড়ি'তে সময় বিকেল ''তিনটে বেজে পনেরো মিনিট'' নাহ্ আজ সময়টাও যেন আজ ছেলেটির উপর জেদ ধরে বসে আছে , বড্ড বেশিই জেদ ! মনে হচ্ছে যেন অন্যদিনের তুলনায় আজ ঘড়ির কাটা টা টিকটিক করে আওয়াজ তুলে ঘুরছে না ! ওটা স্বাভাবিকের চেয়েও মৃদু গতিতে ঘুরছে । কিছুই বুঝতে পারছেনা ''অভ্র'' ! শহরের এত রেস্টুরেন্ট আর পার্ক থাকতে পাগলী মেয়েটা , এখানেই বা কেন ডাকলো? তবে এই জায়গাটা ও খুব একটা খারাপ না বেশ ভালোই , ব্রীজের পাশেই ছোট্ট একটি লেক ,কাঠের একটি ছোট্ট টুল পাতানো , আশেপাশে তেমন কেউ নেই , জায়গাটা বেশ ফাকা ''অবন্তী'' এখন পর্যন্ত এসে পৌঁছায়নি । ''অবন্তী'' এলেই ''অভ্র'' অবন্তী'কে নিয়ে লেকের পাশে যেয়ে ছোট্ট টুলটায় বসবে । ''অবন্তী'' আসা অবধি এখানটাই স্হির দাড়িয়ে ''অভ্র'' রাস্তার ধুলোবালি , আর গাড়ির দূষিত কালো ধোঁয়া সহ্য করে যাচ্ছে । কারো জন্যে অপেক্ষা করে দাড়িয়ে থাকাটা অসহ্য একটা ব্যাপার । তবে ''অভ্র'' মেয়েটির সংস্পর্শে এসে ইদানীং অনেটাই বদলে গেছে । অবন্তীর জন্যে অসহনিয়কে সহনিয় করে নিয়েছে । কারন মেয়ে বলে কথা , চাইলেই বাসা থেকে যখন তখন হুট করে ছেলেদের মত বেরোনো যায়না! অবন্তীর জন্য প্রতিবারেই অপেক্ষা করতে হয় , এ আর নতুন কি? ''অভ্র'' ভাবছে পাশের চায়ের দোকান যেয়ে ওখান থেকে একটি সিগারেট কিনে ওটাতে আগুন ধরিয়ে ফুকবে । নাহ্ তা আর এই জনমে হয়ে উঠবে বলে মনে হয়না ! কারণ ছেলেটি মেয়েটির কাছে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । মেয়েটির দেয়া কথা তাকে রাখতে হবে ! মেয়েটি বলেছিলো ''জীবনের যতটা দিন আমায় ভালবাসবে, কথা দাও ততদিন তুমি ভুল করেও নিকোটিনের ধোঁয়া মুখে নিবেনা । আর যদি নাও , তবে বুঝে নিবো , আমার জন্যে তোমার ভালবাসা ফুরিয়ে গেছে ! ''সেদিন ই ছেলেটি পণ করে জীবনে কোনোদিনও সে সিগারেট মুখে নিবেনা ।
.
তবে মাঝে মধ্যে মাথার মগজে রহস্যেরা পায়চারি করে বেড়ায় ! নিকোটিনে আসলে কি আছে ? যাকে পেতে প্রতিদিন আসক্ত হচ্ছে , হাজার ও বালক, বালিকা ! স্ব ইচ্ছেয় ঠেলে দিচ্ছে নিজেকে মৃত্যুর দরজায় ।
.
হঠাৎ পেছন থেকে কেউ একজন শক্ত করে শার্টের কলার চেপে ধরলো! পেছন ফিরতেই অবন্তী ফিক করে হেসে দিলো।
--এইযে স্যার এখানে দাড়িয়ে কিসের হিসেব কষা হচ্ছে শুনি...?
--নাহ্ তেমন কিছু না । তোমার জন্যই তো অপেক্ষা করছিলাম । ''মেয়েটি আজ প্রথম শাড়ি পড়েছে''! কালো রঙের শাড়ি ''মেয়েটিকে আজ প্রথম শাড়ি পড়তে দেখে অবাক হয় ''অভ্র'' অবাক হয়ে প্রশ্ন করে । ''সূর্য আজ কোন দিকে উদয় হলো?
--কেনো বলো তো?
--হঠাৎ শাড়ি পড়েছো তো তাই জিজ্ঞেস করলাম!
--আমি কি শাড়ি পড়তে পারিনা? আমি কি ছেলে মানুষ নাকি? যে লোকে দেখলে হাসবে আজিব তো! হুহ ...
--অমন করে রেগে যাও কেন? আমার উপর ? আমার খুব ভালো লেগেছে ! আজ প্রথম তোমাকে শাড়ি পড়তে দেখে, আরেকটা কথা , তোমাকে ঠিক বউ বউ লাগছে...... কথাটা বলেই ফেলফেল করে হেসে দেয় ''অভ্র'' !
--ইশ শখ কতো! তোমাকে বিয়ে করতে যাবো কোন দুঃখে !
--আমাকে ভালবাসো সেই দুঃখে ।
--আমি তোমাকে ভালবাসি নাআআআআ....
--সত্যি তো?
--হুম ।
--তাহলে আজ হঠাৎ আমাকে এখানে ডেকে পাঠিয়ে শাড়ি পড়ে এসেছ কোনো উদ্দেশ্য ছাড়াই?
--হুম কোনো উদ্দেশ্য নেই ..! উদ্দেশ্যহীন ।
--ও ! চললাম ভাল থেকো...
--চললাম মানে কোথায় যাও ? ( শার্টের কলার ঝাঁপটে ধরে )
--হাতটা সরাও ! আমি যাবো,আমার কেউ নেই তাই আজ সিগারেটকেই সঙ্গী করে নিবো ! ওটাকে মুখে নিয়ে দেখতে চাই ওটার স্বাদ কেমন ! ''মেয়েটির কাছ থেকে তার লুকোনো কথা বের করানোর জন্যে এই একটি মিথ্যে কথাই যথেষ্ট ! চট করে মেয়েটি অভ্র'র শার্টের কলার ঝাঁপটে ধরে বলে ...
-- কি বললে তুমি? তাহলে আমাকে দেয়া তোমার প্রতিজ্ঞার কি হবে?
--ওটা তোমার প্রেমিকের জন্যে তুলে রাখো ।
-- তাহলে তুমি আমার কে?
--সেটা তুমিই ভালো জানো!
''অবন্তী আর কথা না বাড়িয়ে অভ্র'র শার্টের কলার ছেড়ে দেয় । চোখ দুটো জলে ভরা টলমল করছে ! অবন্তীর অশ্রু সিক্ত নয়নের জল কাজল ধুয়ে গাল বেয়ে বেয়ে পড়ছে ... ওটা মুছে দেয়ার কোনো ইচ্ছে নেই অভ্র'র । ছেলেটা শুধু মেয়েটির কাঁন্না দেখে যাচ্ছে আর মিটি মিটি হাসছে । মেয়েটি তার জেদ মেটাতে তার বোয়াল মাছের চোয়ালের মত হাতের নখ দিয়ে ছেলেটির বাম হাতে ইচ্ছে মতো কয়েকবার আচড় কাটে, খানিকটা রক্ত ও বেরুচ্ছিলো, তবুও অভ্র ওটাকে থামতে দিলোনা , সে হেসে যাচ্ছে অবিরত । দু'মিনিট পর অবন্তী অভ্র'র খুব নিকটে এসে কানে কানে ফিসফিস করে বলে ''আমাকে ভালবাসো? জবাবে অভ্র বলে বুকের বাম পাশটায় হৃদ যন্ত্রটায় ধক ধক করে শব্দ হচ্ছে শুনতে পাচ্ছেন মেডাম? ''কই না তো!'' অবন্তী মাথাটা আলতো করে অভ্র'র বুকে রাখে .. হৃদ যন্ত্রটায় ধক ধক করে শব্দ হচ্ছে । অবন্তী অবাক হয়ে প্রশ্ন করে ''ওটা কার জন্যে অমন করছে শুনি? ''অভ্র'' উত্তর দেয় কেউ না চললাম! মেয়েটি রেগে বলে ''এখানে চুপচাপ বসো কোত্থাও যাবেনা তুমি! আমি এবার রেগে গেলে কিন্তু খামচে তোমার হাত মুখ লাল করে ফেলবো! ছেলেটি ফিক করে হেসে দেয় । সাথে মেয়েটিও ছেলেটির বুকে মাথা গুজে দেয় , অভ্র চুপটি করে ছোট্ট বেঞ্চিটায় বসে রইলো! ভয়ে নয় পাগলী মেয়ের পাগলুমোর কাছে হার মেনেছে সে, অমন খুনসুটি ভালবাসা কজনের ভাগ্যেই বা জোটে? ॥
.
.
→ ✒ written by →শেষ সন্ধ্যার কবি

সম্পর্ক

সম্পর্ক
চোখে কালসিটে। চোয়ালে আইসব্যাগ। কৌশিকের ইন্টারভিউটা দেখছে সুমি।
- কৌশিকবাবু, পক্ষাঘাতে বাকশক্তি হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আপনার যে আবিষ্কার, তা নিয়ে এদেশে ফিরলেন কেন?
স্মৃতির ঢেউয়ে সুমির মনে পড়ে দীর্ঘকাল কৌশিকের পঙ্গু বাবা ছেলের পরের পর সাফল্যে শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকাতেন। মনে পড়ে, কৌশিকের মা সুমিকে জড়িয়ে কাঁদছেন, যেদিন উনি চলে গেলেন। কৌশিক আসতে পারল না।
আসল না সেদিনও যেদিন প্রতাপের সাথে সাত পাকে বাঁধা পড়ল সে।
ওদিকে মেয়েটার গলা, এখনো বিয়ে করেন নি। কেন, জানতে পারি?
বারো বছর পরও কি ওকে চিনতে পারবে কৌশিক?
সেদিন রাতে আবার প্রতাপের উন্মত্ত চিৎকার। অশ্রাব্য গালাগালি। কোনোদিন বাধা দেয় নি সুমি, পড়ে পড়ে মার খেয়েছে। আজ রুখে দাঁড়ায়। দুহাতে ওর গলা টিপে ধরে আছে প্রতাপ, ওর নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে, হঠাৎ কপাল চেপে ধরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে প্রতাপ।
সুমির শোওয়ার ঘরে প্রতাপের পঙ্গু শরীরটা থেকে রকমারি সব তার আর নল একটি মেশিনের সাথে যুক্ত। সুমি ঢুকতেই একটি যান্ত্রিক স্বর, সেই পুরোনো বিরক্তি। এতক্ষণ কোথায় ছিলে? বর পঙ্গু হয়ে পড়ে আছে, আর উনি পাড়া বেড়াচ্ছেন! নির্লজ্জ মেয়েছেলে! ! সুমি ডায়াপার পালটায়। প্রতাপের শাপশাপান্ত চলতে থাকে। তোমার নিস্তার নেই সুমি। আমি তোমায় অত সহজে ছাড়ব না। সুমি, একটু ছোঁও না আমাকে, ওইখানে। কি হল, ঘেন্না! স্বামীর শরীর ছুঁতে ঘেন্না! এখন কি ওই ডাক্তারের সাথে শুচ্ছিস? হারামজাদী, বেশ্যা মাগী, তোর মুক্তি নেই ---
সুমি দুহাতে কান চেপে বেরিয়ে আসে।
- আর পারছি না কৌশিক।
- সুমি, চলে এস। ও যা করেছে তারপর কেন পড়ে আছ ---! তুমি জান ও দুদিনও বাঁচবে না যদি তুমি শুধু ---।
- না, কৌশিক; অত সহজে না।
ইলেকট্রিক চুল্লিতে প্রতাপের শরীরটা ছাই হয়ে গেল। সবাই বলেছে এমন সতীসাধ্বী স্ত্রী আজকের দিনে সত্যিই বিরল।
একটি চৌকোন কাঁচের বাক্সে ভাসমান একটি মানুষের মস্তিষ্ক। অনেকগুলো তার বেরিয়ে একটি মেশিনের সাথে যুক্ত। সুমি ঢুকতেই সেই বহুপরিচিত যান্ত্রিক স্বর ভেসে আসে।
- সুমি, তুমি এসেছ! তুমি, তুমি ১৮ ঘন্টা আসনি জান! আমি, আমি পাগল হয়ে যাব। আমার আর কিচ্ছু চাই না। দুটো কথা বল, প্লীজ! কতদিন তোমার গলা শুনিনি। সুমি, সুমি, আমায় মুক্তি দাও! আমি তোমায় পায়ে ধরছি। তুমি আমায় এবার যেতে দাও। আর পারছি না আমি।
খিলখিল করে হেসে ওঠে সুমি।
- তুমি আমায় পায়ে ধরবে? ধর! ধর! কেন, পারছ না? আমার গলাটা চেপে ধরতে ইচ্ছে করছে না? ইচ্ছে করছে না আমায় মাটিতে ফেলে তোমার পৌরুষের প্রমাণ দিতে! চুপ কর! নাহলে কথা বলার ক্ষমতাটাও কেড়ে নেব। না প্রতাপ! তোমার এত সহজে মুক্তি নেই! কৌশিক বলেছে, এখনও তুমি অনেকদিন বাঁচবে। আমি, আমি কি অত সহজে তোমায় মরতে দিতে পারি! তোমার আমার যে সাত জনমের সম্পর্কচ
 

লিখাঃশেষ সন্ধ্যার কবি

Life

ধরে নিলাম,
একটা বাচ্চা মেয়ে । সবে সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে । তার এখন কতটুকুই বা বয়স । গ্রামে থাকে । পুতুল নিয়ে খেলতে লজ্জা পায় । আবার মা খালার সাথে গপ্প করতে করতে কাঁথা শিলাই করতেও লজ্জা পায় ।
তার কাল বিয়ে । দইয়ের পাতিল কিনছে সে । নিজ দায়িত্বে । অথচ সে কি জানে কালকের পর সে আর তার প্রিয় ফ্রকটা পরতে পারবে না?
সে কি জানে এর পর রাতে ভয় পেলে আর তার মা তাকে অভয় দিতে আসবে না?
না সে জানে না । জানার কোন দরকারই নেই । বিয়ে হবে । বাচ্চা হবে । এটাই স্বাভাবিক । তার জন্মই এজন্য ।
সমবয়েসী একটা মেয়ে যে শহরে থাকে সে এই বয়সে কি করে?
শহর আর গ্রামের মধ্যকার এই তফাতটা ঘুচবে না?
দিনরাত নারী নিয়ে লিখে কলম ভাঙি আমরা । সবাই বলে নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি পাচ্ছে । জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন কমে গেছে
কমেছে মানছি । তবে শুধু শহরে ।
নাকি গ্রাম্য মেয়েরা নারীই নয়?