যে মেয়েটা আমায় বারবার বলতো- "তোর মত একটা বর চাই"।
আমি শুধাইতাম- "কেন কি আছে আমার মাঝে?"
মেয়েটা কিছু না বলে খিলখিল করে হাসতো।
অনেকটা হাসার পর বলতো- "তোর মত স্বামী হলে আমি আমার মত চলতে পারবো, তুই তো খুব ভালো তাই।"
আমিও তার নির্বোধ কথা শুনে হাসতাম আর বলতাম- "দেখিস তুই ঠিক তোর মতই চলবি। শুধু আমি একটু ভিন্য রইবো।"
তখন আর কি, এইভাবেই শেষ হল এসএসসি নামক অধ্যায়। আমি চলে আসি কাঁচঢাকা শহরে, ইট পাথরের ভাঙ্গা দালানে। সে পরে থাকে ঐ গ্রামে।
শহরে আসার সময় মেয়েটা আমায় একটা চিঠি দেয়, ছোট চিরকুট ধরা যায়। যা লিখা ছিল, তার দুষ্টু হাতে মিষ্টি করে- "তুই দোয়া করিস, আমার স্বামী যেন তোর মত বন্ধু হয়। আমাকে আমার মত চলতে দেয়। তুই জানিস তো পড়ালেখা ছাড়া আমি আর কিছুই জানিনা। হ্যাঁ, ভালো থাকিস।"
চিঠিটা আজও মানিব্যাগ এর চিপায় রাখা। হয়তো অযত্নে কিন্তু মাঝে মধ্যেই খুলে পড়ি। চিন্তা করি কোথায় গেল সেই দিন!
কয়েকদিন পূর্বে বাড়ি গেলাম, জানতে পারলাম বন্ধুটার বিয়ে হয়েছে। বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছে সে, আমার হঠাৎ দেখা। আমি যা দেখলাম তা আমায় বিস্মিত করলো।
তার সাড়ে তিন হাত বডিতে সে চৌদ্দ হাতের শাড়ি জড়িয়েছে খুব গুছিয়ে। হাতে চুড়ি, মেহেদীর লাল গাড় রং এখনো যায় নি। স্বামীর সাথেও খুব মানানসই হয়েছে। আজ সে সব পারে।
শাড়ি পড়তে, রাঁধতে, চুল আঁচড়াতে, সংসার নামক যন্ত্র গুছাতে। সব পারে।
আমায় দেখা মাত্র সেই অভিমানের সুর দিলো তুলে- "কি একটা চিঠির উত্তর দিলি, আর দিলি না?"
আমার ভাষা নেই, কি বলবো। আমি যে একটা চিঠি ই পেয়েছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম- "চিঠি কার কাছে দিলে? যে আমার হাতে পৌঁছায়নি?"
সে বলল- "কেন বাবার কাছে আর তোর দোলা ভাইয়ের কাছে।"
আমি কিছু বললাম না। শুধু চুপ থেকে ভাবলাম, তারা কি আমাদের বন্ধুত্বটাকে প্রেম ভাবলো?
সে বলে উঠলো- "জানিস তুই যে চিঠিটা দিয়েছিল, এখনো আছে। হঠাৎ উদাস মনে পড়ি। এই আমার চিঠিটা আছে?"
তার চোখে পানিএসে গেল, আমি নিস্তব্ধ। আস্তে আস্তে সে যে আমায় ভালোবেসে ফেলেছিল ঠিক আমার মত করে সেটা বুঝতে পারলাম।
পারলেও কিছু করার নেই, তার স্বামী আমার দোলা ভাই।
আবার চলে এসেছি বাড়ি থেকে, সেও সবকিছু করতে পারে। আমি নাহয় এটাই করলাম। জানিনা কতটুকু ছিল প্রীতি। তবে বন্ধুত্বটা শত পার্সেন্ট।
"একটা বড় ভাইয়ের বাস্তবতা এই লিখাটা। বড় ভাইকে বলতে হয়- ভাই এগুলায় দেরি করতে নেই।"
লিখা-শেষ সন্ধ্যার কবি
আমি শুধাইতাম- "কেন কি আছে আমার মাঝে?"
মেয়েটা কিছু না বলে খিলখিল করে হাসতো।
অনেকটা হাসার পর বলতো- "তোর মত স্বামী হলে আমি আমার মত চলতে পারবো, তুই তো খুব ভালো তাই।"
আমিও তার নির্বোধ কথা শুনে হাসতাম আর বলতাম- "দেখিস তুই ঠিক তোর মতই চলবি। শুধু আমি একটু ভিন্য রইবো।"
তখন আর কি, এইভাবেই শেষ হল এসএসসি নামক অধ্যায়। আমি চলে আসি কাঁচঢাকা শহরে, ইট পাথরের ভাঙ্গা দালানে। সে পরে থাকে ঐ গ্রামে।
শহরে আসার সময় মেয়েটা আমায় একটা চিঠি দেয়, ছোট চিরকুট ধরা যায়। যা লিখা ছিল, তার দুষ্টু হাতে মিষ্টি করে- "তুই দোয়া করিস, আমার স্বামী যেন তোর মত বন্ধু হয়। আমাকে আমার মত চলতে দেয়। তুই জানিস তো পড়ালেখা ছাড়া আমি আর কিছুই জানিনা। হ্যাঁ, ভালো থাকিস।"
চিঠিটা আজও মানিব্যাগ এর চিপায় রাখা। হয়তো অযত্নে কিন্তু মাঝে মধ্যেই খুলে পড়ি। চিন্তা করি কোথায় গেল সেই দিন!
কয়েকদিন পূর্বে বাড়ি গেলাম, জানতে পারলাম বন্ধুটার বিয়ে হয়েছে। বাবার বাড়ি বেড়াতে এসেছে সে, আমার হঠাৎ দেখা। আমি যা দেখলাম তা আমায় বিস্মিত করলো।
তার সাড়ে তিন হাত বডিতে সে চৌদ্দ হাতের শাড়ি জড়িয়েছে খুব গুছিয়ে। হাতে চুড়ি, মেহেদীর লাল গাড় রং এখনো যায় নি। স্বামীর সাথেও খুব মানানসই হয়েছে। আজ সে সব পারে।
শাড়ি পড়তে, রাঁধতে, চুল আঁচড়াতে, সংসার নামক যন্ত্র গুছাতে। সব পারে।
আমায় দেখা মাত্র সেই অভিমানের সুর দিলো তুলে- "কি একটা চিঠির উত্তর দিলি, আর দিলি না?"
আমার ভাষা নেই, কি বলবো। আমি যে একটা চিঠি ই পেয়েছি। আমি জিজ্ঞেস করলাম- "চিঠি কার কাছে দিলে? যে আমার হাতে পৌঁছায়নি?"
সে বলল- "কেন বাবার কাছে আর তোর দোলা ভাইয়ের কাছে।"
আমি কিছু বললাম না। শুধু চুপ থেকে ভাবলাম, তারা কি আমাদের বন্ধুত্বটাকে প্রেম ভাবলো?
সে বলে উঠলো- "জানিস তুই যে চিঠিটা দিয়েছিল, এখনো আছে। হঠাৎ উদাস মনে পড়ি। এই আমার চিঠিটা আছে?"
তার চোখে পানিএসে গেল, আমি নিস্তব্ধ। আস্তে আস্তে সে যে আমায় ভালোবেসে ফেলেছিল ঠিক আমার মত করে সেটা বুঝতে পারলাম।
পারলেও কিছু করার নেই, তার স্বামী আমার দোলা ভাই।
আবার চলে এসেছি বাড়ি থেকে, সেও সবকিছু করতে পারে। আমি নাহয় এটাই করলাম। জানিনা কতটুকু ছিল প্রীতি। তবে বন্ধুত্বটা শত পার্সেন্ট।
"একটা বড় ভাইয়ের বাস্তবতা এই লিখাটা। বড় ভাইকে বলতে হয়- ভাই এগুলায় দেরি করতে নেই।"
লিখা-শেষ সন্ধ্যার কবি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন